Cvoice24.com

রেডি প্রকল্পে ওপেন ডে উদযাপন করলো র‍্যাংকস এফসি

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ১৮ মার্চ ২০২৩
রেডি প্রকল্পে ওপেন ডে উদযাপন করলো র‍্যাংকস এফসি

র‍্যানকন হোয়াইট ওক এবং র‍্যানকন পার্ক ট্যারেসে ওপেন ডে`র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগ্রুপ র‍্যানকনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান র‍্যাংকস এফসি প্রোপার্টিস তাদের অভিজাত প্রকল্প র‍্যানকন হোয়াইট ওক এবং র‍্যানকন পার্ক ট্যারেসে ওপেন ডে উদযাপন করেছে। এটি রিয়েলএস্টেট সেক্টরে অভিনব এক ধারণা। প্রকল্প প্রস্তুত করে গ্রাহকদের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার আগ মুহূর্তে প্রকল্প দুটো এলাকাবাসি, ভবিষ্যত গ্রাহক, কৌশলগত পার্টনার, ভ্যালুচেইন পার্টনার, মিডিয়া হাউস সবার প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। 

 শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে এই ওপেন ডে'র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় প্রকল্প সাইটে। এসময় ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস (আইএবি) চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার এর সভাপতি এবং সিডিএ’র বোর্ড পরিচালক স্থপতি আশিক ইমরান, বিজিএমই এর সহ সভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (উত্তর) মোখলেসুর রহমান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক(নিউরোলজি) ডা. তৌহিদুর রহমান, ডেভলপার প্রতিষ্ঠান র‍্যাংকস এফসির সিইও তানভীর শাহরিয়ার রিমন, জিএম কনস্ট্রাকশন প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ চৌধুরী সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, সেটব্যাক মেনে, সিডিএ’র নিয়মের মধ্যে থেকে যে অত্যাধুনিক এবং চমকপ্রদ ভবন বানানো যায় এটার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে র‍্যাংকস এফসি। তিনি বলেন, একজন স্থপতি হিসাবে বলছি, তরুণ আর্কিটেক্টদের এই ভবনগুলো পরিদর্শন করা উচিত। শেখা উচিত কি করে সুক্ষ্ন ডিটেইলিং নিশ্চিত করতে হয়। 

বিজিএমই’র রকিবুল আলম বলেন, এই নগরে র‍্যাংকস এফসি ভবনগুলোর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চোখ আটকে যায়। গ্রিন ভবনগুলো এই নগরের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যরা এই স্থাপনাগুলো থেকে শিখতে পারে। 

ডা. তৌহিদুর রহমান বলেন, ভুমি মালিক হিসেবে আমরা গর্বিত। এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। 

মোখলেসুর রহমান বলেন, ডেভলপার হিসেবে র‍্যাংকস এফসি যে ট্রেন্ড সেট করছে সেটা অনন্য। এখন নিয়ম মানার একটা চাপ তৈরী হবে অন্যদের মাঝে। পাশাপাশি অনেকেই গ্রিন ভবন তৈরী করতে আগ্রহী হবেন। 

র‍্যাংকস এফসি সিইও তানভীর শাহরিয়ার বলেন, আমরা প্রফিট থেকে প্রসপারিটিকে বেশি গুরুত্ব দিই। বাংলাদেশে গ্রিন ভবণ নির্মাণের যে প্রচেষ্টা সেখানে র‍্যানকন পথ দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের ভবনগুলো এনার্জি এফিশিয়েন্ট। প্রাকৃতিক আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চত করেই আমরা ভবন ডিজাইন করি। এখানে সৌর বিদ্যুতের বহুল ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি পানির অপচয় রোধ ,রিসাইক্লিং, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং করা হয়েছে। পুরো ভবনের দেয়ালজুড়ে যে ভার্টিকাল গ্রিন তা কার্বন নিঃসরণ কমাবে। ভবনের তাপমাত্রা অন্তত ২ ডিগ্রি কম থাকবে সবসময়। তিনি এই প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। 

ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে কমিউনিটি এনগেজমেন্টের জন্য রাখা হয়েছে বিভিন্ন রকম লাউঞ্জ। জিম, মাইন্ডফুলনেস জোন, অটোমেটেড রেইন ফরেস্ট, ওয়াটারবডি সহ অত্যাধুনিক সব অনুসঙ্গ যু্ক্ত করা হয়েছে প্রকল্পগুলোতে। 

উদ্বোধনের পর অতিথিরা ভবনের বিভিন্ন সুবিধা গুলো ঘুরে দেখেন। এরপরই সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় প্রকল্প দুটো।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়