আর কেউ থাকল না প্রবাসী নারায়ণের

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:১৮, ৭ নভেম্বর ২০২৩
আর কেউ থাকল না প্রবাসী নারায়ণের

পরিবারের হাল ধরতে স্ত্রী-সন্তান রেখে দুই বছর আগে ওমান পাড়ি দিয়েছিলেন নারায়ণ দাশ। মাটির ঘর ভেঙে দোতলা বাড়ি করবেন, ছেলে মেয়েদের করবেন উচ্চ শিক্ষিত। এক ধাক্কাতেই সব স্বপ্ন ধুলিষ্যাৎ তাঁর। বুকভরা শোক নিয়ে জরুরি ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। 

শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেছে তাঁর পুরো পরিবারের। এখন তার আর কেউ রইল না। মঙ্গলবার সকালে সাড়ে ১১টার দিকে হাটহাজারীর চারিয়া এলাকায় চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি মহাসড়কে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নারায়ণের পরিবারের ১৭ বছরের মেয়ে প্রতিবন্ধী শ্রাবন্তী দাশ এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী, ১২ বছরের মেয়ে বর্ষা দাশ স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। জমজ দুই ছেলে দ্বীপ দাশ ও দিগন্ত দাশ থাকতো মায়ের কোলজুড়ে। দুজনেরই বয়স ৪ বছর।

নারায়ণের বড় ভাই বাবলু দাশ বলেন, দুই বছর আগে সে অনেক অভাবে পড়ে স্ত্রী-সন্তান স্বজনদের কথা চিন্তা করে ওমানে যায়। সেখানে লন্ড্রির কাজ করে কোনোমতে সংসার চলতো। তবুও স্ত্রী-সন্তান পরিবারের জন্য তার স্বপ্নের কমতি ছিলনা...। কিছুই হলোনা। আগামীকাল দুপুর ১২টার ফ্লাইটে দেশে আসছে নারায়ণ। এরপরই নিজ হাতে পুরো পরিবারের দাহ করবে।

এরআগে, আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া এলাকায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান একই পরিবারের সাতজন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

নিহত সাতজন হলেন— চন্দনাইশের জোয়ারা ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকার হিন্দুপাড়ার নারায়ণ দাশের স্ত্রী রিতা রানী দাশ (৩৫), বড় মেয়ে শ্রাবন্তী দাশ (১৭), ছোট মেয়ে বর্ষা দাশ (৯), ৪ বছর বয়সী জমজ ছেলে দ্বীপ দাশ ও দিগন্ত দাশ, ভাসুরের ছেলে বিপ্লব দাশ (২৭) এবং ননদ চিনু বালা দাশ (৫০)। এছাড়া আহতরা হলেন— বিপ্লব দে ও বাপ্পা দাশ।

সিভয়েস/এনএ/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়