খেলাপি ঋণের তথ্য আড়াল করে ঝরে গেলেন আ. লীগ নেতা ফারুকী 

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:০৬, ৫ মে ২০২৪
খেলাপি ঋণের তথ্য আড়াল করে ঝরে গেলেন আ. লীগ নেতা ফারুকী 

চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি- সম্পাদকসহ মনোনয়নপত্র জমা করেছিলেন আওয়ামী লীগের চার নেতা। রবিবার (৫ মে) যাচাই-বাছাই শেষে খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন করায় তাঁদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা ফারুকীর মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম প্রামানিক। 

এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন— উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ চৌধুরী জুনু,   সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবসায়ী জসীম উদ্দিন আহমেদ, জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন ফকির (আমিরী)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ সোলাইমান ফারুকী, অধ্যাপক একরামুল হোসেন, রূপম দেব। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক খালেদা আক্তার চৌধুরী।

চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা ফারুকী বলেন, আমি আপিল করবো। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাবো।

চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রাকিবুজ্জামান রেনু বলেন, ব্যাংকের খেলাপি ঋণের ব্যাপারে তথ্য গোপন করায় একজনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। আগামী ৬-৮ মে আপিলের সুযোগ রয়েছে। ৯-১১ মে আপিলের শুনানি হবে।  ১২ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়