চবিতে খাবার না পেয়ে ক্যান্টিন কর্মচারীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর, ডাইনিং বন্ধ

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ৮ মার্চ ২০২২
চবিতে খাবার না পেয়ে ক্যান্টিন কর্মচারীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর, ডাইনিং বন্ধ

সোহরাওয়ার্দী হল। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সোহরাওয়ার্দী হলের কর্মচারীকে মারধরের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য হলে খাবার পরিবেশন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ডাইনিং কর্তৃপক্ষ। এরআগে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে কর্মচারী আবুল হাসেমকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের তিন নেতার বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগ ডে অনুষ্ঠানের জন্য রাখা খাবার না দেয়ায় আবুল হাসেমকে মারধর করে তারা।

খাবার পরিবেশন বন্ধ রাখার বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের ডাইনিং ম্যানেজার মো. মানিক বলেন, আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। ওই তিনজন প্রায় ‘ফাও’ খাবার খেয়ে চলে যায়। আজ আমাদের সহকর্মীকে মারধরের পর বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন তারা। হল কর্তৃপক্ষও আমাদের দেখতে আসেনি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাইনিং বন্ধ রাখবো।

অভিযুক্তরা হচ্ছেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী মোখলেছ, ইংরেজি বিভাগের ১২-১৩ সেশনের সাদ্দাম হোসেন ও লোক প্রশাসন বিভাগের ১২-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী মোরশেদ। এরা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয়ের কর্মী বলে জানা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দর্শন বিভাগের র্যাগ ডে উপলক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী হলের ডাইনিংয়ে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। খাবারের মধ্যে থেকে অতিরিক্ত তিন পেকেট খাবার মোখলেস, সাদ্দাম, মোরশেদ দাবি করে। খাবার পরিবেশনকারী আবুল হোসেন তা দিতে অস্বীকার করলে ওই তিনজন তাকে মারধর করে। 

মারধরে আহত আবুল হোসেন বলেন, এরা তিনজন রাজনীতি করে না। ছাত্রলীগ নাম দিয়ে চলে। নেশা করে। আজকে ওরা এক হাজার টাকা চাঁদা ও অন্য বিভাগের রান্না করা খাবার করে আমার কাছে চায়। আমি দিতে না চাইলে তারা আমাকে মারধর করে। এমনকি রান্না করার খন্তি দিয়ে ওরা আমার মাথায় আঘাত করলে আমি রক্তাক্ত হই। আমি এর বিচার চাই। এখন আমি চবি মেডিকেল সেন্টারে আছি, সুস্থ হলে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিব। যোগ করেন আবুল হোসেন।

অভিযুক্তের একজন সাদ্দাম হোসেন বলেন, আবুল হোসেনের আচরণগত সমস্যা আছে। সে ছাত্রদের সাথে প্রায় বেয়াদবি করে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এমন আচরণ একজন কর্মচারী থেকে আশা করি না। এজন্য রেগে গিয়ে আমর জুনিয়র কথা বলতে গেলে হালকা হাতাহাতি হয়।

বিজয় গ্রুপের নেতা মো. ইলিয়াস বলেন, মারধরের কথা আমি শুনেছি। যারা মারধর করছে তারা এর দায়ভার নিবে। গ্রুপ এর সঙ্গে জড়িত না। আমি প্রশাসনকে বলে দিয়েছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়