শাটলের দ্বন্দ্বে চবি ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ, ছাত্রলীগের ৭ কর্মী আহত

শাটলে বসাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই উপ গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘন্টাখানেক ধরে চলা এত সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ। 

পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় রাত বারোটায় সিক্সটি নাইন শাহজালাল হল ও ভিএক্স সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জানা গেছে, সাড়ে পাঁচটার শাটল ট্রেনে বাকবিতণ্ডার মধ্য দিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ ঘটনার জেরে রাত সাড়ে আটটার শাটল বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে এসে পৌছালে সেখানে উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর পরপরেই ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে শাহজালাল হল থেকে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা এসে সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত ভিএক্স গ্রুপের কর্মীদের উপর হামলা চালালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও উভয় পক্ষের কর্মীদের দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ মহড়া দিতে দেখা যায়।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মোট ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, সিক্সটি নাইন গ্রুপের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মামুন ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. মানিক, ও ভিএক্স গ্রুপের বোটানি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহ পরান। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে।

সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইদুল হক সাইদ বলেন, শাটল ট্রেনে জুনিয়রদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। আমাদের ছেলেদের তারা সোহরাওয়ার্দী হল থেকে বের করে দিয়েছে। প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে আমাদের ছেলেরা যাতে সোহরাওয়ার্দী হলে ফিরে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করা।

ভিএক্স গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদেক হোসেন টিপু বলেন, ওরা শাটল ট্রেনে আমাদের এক জুনিয়রকে বসতে দেয় নাই। পরে আরেক জুনিয়র শাহ পরাণের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে তাকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।