Cvoice24.com

পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু জুনে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:২৮, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু জুনে

বক্তব্য রাখছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান

চলতি বছরের জুন মাসেই পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু হবে বলে আশা করছি। টার্মিনালটি চালু হলে বছরে সাড়ে ৪ লাখ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান এসব কথা বলেন।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর করোনা মহামারীর সংকটময় সময়ের মধ্যেও শতভাগ কাজ চালিয়ে গেছে। আমাদের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তারপরও নানা প্রতিকূলতার মধ্যে শতভাগ কাজ চালিয়ে যেতে বন্দর বদ্ধ পরিকর। বর্তমানে বন্দরে ৫০ হাজার টিইইউএস কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা আছে। তবে এখন ৩৯ হাজার টিইইউএস কনটেইনার রয়েছে। অর্থাৎ বন্দরে এখন কোন কনটেইনার জট নেই।

বন্দরের এ শীর্ষ কর্মকর্তা আরো বলেন, বে-টার্মিনাল ও পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু হলে বন্দরের কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতার পাশাপাশি কাজের সক্ষমতা আরো বাড়বে। 

ইতালির রাষ্ট্রদূত এইচ ই এনরিকো নানজিয়াটা বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের জনপ্রিয়তা রয়েছে। চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে জাহাজ চালু হয়েছে, এটা দু’দেশেরই বাণিজ্যিক প্রসারতার বড় সুযোগ। আমি মনে করি বাণিজ্যের পাশাপাশি দু’দেশের সুসম্পর্ক আরো জোরদার হবে।

বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এইচ ই চার্লস স্টুয়ার্ড হুইটলে বলেন, প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে পোশাক পণ্য নিয়ে জাহাজ চলাচল করবে, এর মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি হবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রশংসা রয়েছে। করোনার কারণে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি, পোশাক খাতে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অর্থনীতির উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো মেগাপ্রকল্প হাতে নিয়েছেন। বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে, অর্থনৈতিকভাবে আরো শক্তিশালী হবে। আমরা বাণিজ্যিকভাবে এর অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক খাতের অগ্রগতিতে বিজিএমইএ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কাজের মান, নকশাসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের তৈরি পোশাকের চাহিদা রয়েছে। এটি ধরে রাখতেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশিয় জিডিপি বৃদ্ধিতে গার্মেন্টস সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা আশা করি আমাদের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে পোশাক খাত আরো এগিয়ে যাবে।

মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়