Cvoice24.com

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বাড়ছেই

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:০১, ১৯ মে ২০২৩
পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বাড়ছেই

চটগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে দফায় দফায় বাড়ছে দেশি পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটিতে নতুন করে দাম বেড়েছে ২৮ টাকা। অপরদিকে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি। চড়া মাছের বাজারও। 

গতসপ্তাহে খাতুনগঞ্জে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আরো ২৮ টাকা বেড়ে বর্তমানে পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকায়। 

ব্যবসায়ীরা জানান, পাবনা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর থেকে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। গত দুমাস ধরে আমদানি বন্ধ থাকায় শুধুমাত্র দেশি পেঁয়াজের উপর ভরসা করতে হচ্ছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসলে দাম অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান তারা। 

এদিকে খাতুনগঞ্জে প্রতিকেজি চায়না রসুন ১২০, ভারতের ছোট কোয়ার রসুন ৮৫, ভিয়েতনামের আদা ২২০ ও মায়ানমারের আদা ১৮০ টাকায়য় বিক্রি হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস সিভয়েসকে বলেন, গত ১৫ মার্চ থেকে ভারত ও মিয়ানমারের পেয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। সরকার নতুন করে আমদানি অনুমতি দিচ্ছে না। আমরা ফরিদপুর, পাবনা থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসি। সেখানে দাম বাড়ায় এর প্রভাব এখানেও পড়েছে। তবে আমদানি বেড়ে গেলে দাম কমে যাবে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দেশে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে। তাই আমদানি বন্ধ রেখে এসব পেঁয়াজ দিয়েই চাহিদা পূরণ করতে চায় সরকার। আর আমদানি বন্ধকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। তাই এখনই বাজার তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত।

জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, আমরা কিন্তু প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের সীমিত জনবল নিয়ে যতটা সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি কাজ করার। সমস্যা হল, অভিযানের পর আবার বাড়তি দামে পণ্য বিক্রির পায়তারা করেন ব্যবসায়ীরা। তবে আমরা বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করব।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে চড়া সবজির বাজার। অধিকাংশ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার উপরে। বর্তমানে প্রতিকেজি বেগুন ৬০, চিচিঙ্গা ৭০, টমেটো ৫০, বরবটি ৮০, পটল ৮০, লতি ৫০, ধুন্দল ৯০, ঢেড়শ ১শ, তিতা করলা ১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

মাছের বাজারেও মিলছে না স্বস্তি। বাজারে প্রতিকেজি রুই ৩শ, কাতলা ৩শ থেকে ৩২০, পাঙ্গাস ২২০, শিং ৫৫০, টেংরা ৪৫০, কই ২৫০ ও চিংড়ি ৬শ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। 

মাছের বাজারে প্রতিকেজি রুই-কাতলা মাছ ৩শ থেকে ৩২০, পাবদা ৪শ, টেংরা ৪৫০, শিং ও সমুদ্রের কোরাল ৫শ, কই ২৬০ এবং পাঙাস ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তাছাড়া মাংসের বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২১৫ থেকে ২২০, কক ৩৪০ ও পাকিস্তানি লেয়ার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৮০ থেকে ৮শ এবং খাসি ১১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়