Cvoice24.com

শুধু অতিরিক্ত পণ্য নয় সাথে আত্মীয়ের জন্য কার্টনে দিলেন চাল-মশলা-সেমাই

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শুধু অতিরিক্ত পণ্য নয় সাথে আত্মীয়ের জন্য কার্টনে দিলেন চাল-মশলা-সেমাই

ঘোষণা ছিলো ৩ হাজার ২০৩ পিস টি-শার্ট প্যান্ট রপ্তানির। কিন্তু কার্টনে দিলেন অতিরিক্ত আরও ৬৯০ পিস পোশাক পণ্য। শুধু অতিরিক্ত পণ্য নয়, এক আত্বীয়ের জন্য কার্টনে করে দিলেন সুগন্ধি চাল, সেমাই, গুঁড়া মশলা ও পাঁচফোড়ন। রপ্তানিকারকের ধারণা ছিল, কাস্টমস এগুলো ধরবে না। তবে তা হয়নি; বৃহস্পতিবার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকার জাহানারা ট্রেডিংয়ের এ জালিয়াতি ধরা পড়ে। 

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, নগরের কাঠগড় এলাকায় এসএপিএল নামের একটি ডিপোতে ওই রপ্তানিকারকের জালিয়াতি ধরা পড়ে। পণ্যচালানগুলো থাইল্যান্ডের ‘পাক্কানাত মীম‘ নামের একটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করছিল। রপ্তানিকারক ২২ কার্টনে ২ হাজার ১শ পিস টি-শার্ট ও ১ হাজার ১০৩ পিস পণ্যের ঘোষণা দেয়। কিন্তু কার্টন খুলে পরীক্ষা করার পর ২২ কার্টনে ৬৯০ পিস অতিরিক্ত ট্রাউজার, লেডিস ব্রা, গাউন পাওয়া যায়। পাশাপাশি কিছু কিছু কার্টনের ভেতর লুকানো প্যাকেটজাত ১০ কেজি (১০ প্যাকেট) সুগন্ধি চাল, ১ কেজি ৪শ গ্রাম (৭ প্যাকেট), ২৪০ গ্রাম (৬ প্যাকেট) গুঁড়া মসলা ও ৩শ গ্রাম পাঁচফাড়ন পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে ২২ কার্টনে ৪ লাখ ১০ হাজার ৩৮৫ টাকার পণ্য ছিল।  

রপ্তানি চালানটিতে জড়িত ছিল নগরের আগ্রাবাদ এলাকার এম আর এক্সপ্রেস লিমিটেড নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএন্ডএফ এজেন্টের মালিক কাজী আবদুর রহিম সিভয়েসকে বলেন, এই রপ্তানিকারকের সাথে আমরা দীর্ঘদিন কাজ করছি। কখনো সমস্যা হয়নি। এবার তারা অতিরিক্ত পোশাক পণ্যের পাশাপাশি অল্প পরিমাণে ভোগ্যপণ্য কার্টনের ভেতর দিয়েছে। অথচ এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই জানায় নি। রপ্তানিকারক তার পরিচিত কারও জন্য দেশি এসব পণ্য পাঠাতে চেয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন কাস্টমস এগুলো ধরবে না। কিন্তু কাস্টমস আগের চেয়ে কঠোর হয়ে গেছে এটা রপ্তানিকারকের ধারণা ছিল না।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি সিভয়েসকে বলেন, ওই রপ্তানি চালানের ২২ কার্টনের সবগুলোতেই বাড়তি পণ্য পাওয়া যায়নি। কিছু কিছু কার্টনে চাল, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্য পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ