Cvoice24.com

শেষ দশে জম্পেশ বেচাবিক্রির আশা

শারমিন রিমা, সিভয়েস২৪

প্রকাশিত: ১৪:১২, ১ এপ্রিল ২০২৪
শেষ দশে জম্পেশ বেচাবিক্রির আশা

ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়ছে চট্টগ্রাম নগরের ছোটবড় সব মার্কেটে। চড়া দাম তাই বেশিরভাগ ক্রেতা দরদাম করেই ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার চড়া দামেও কিনছেন। এদিকে ভিড় বাড়লেও বেচাবিক্রিতে ভাটা পড়েছে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। তারা জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশও বিক্রি করতে পারেননি এখনো।

রোববার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদের লাকি প্লাজায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশ চড়া বলে ক্রেতাদের আছে নানা অভিযোগ-অনুযোগ। তবে বাড়তি দামের কথাটা অস্বীকার করছেন না বিক্রেতারাও।

সরেজমিন দেখা যায়, মার্কেটটির প্রথম তলা থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত থানকাপড়, শাড়ি, থ্রি-পিস, বেবি গার্মেন্টস, ওড়না, জুতা, জুয়েলারি, জেন্টস টেইলার্স, কসমেটিকস, লেডিস ও জেন্টস রেডি গার্মেন্টস, পাঞ্জাবি, বোরকা ও রেডি থ্রি-পিসের দোকানসহ মোট ৩৬৫টি দোকান রয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি বাদে প্রত্যেক দোকানে দোকানে উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু বিক্রেতাদের মুখে হাসি নেই। মার্কেটজুড়ে ভিড় থাকলেও ক্রেতা না থাকায় বেচাবিক্রি হচ্ছে না। যদিও বিক্রেতারা আশা করছেন— শেষ দশে বেচাকেনা বাড়বে। এবারের ঈদে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বেচাবিক্রি হওয়ার আশা দেখছেন তারা।

প্লাজা কর্নার নামের একটি দোকানের বিক্রেতা মুন্না বলেন, ‘সামনে ঈদ কিন্তু এখনও  তেমন বেচাকেনা নেই। মানুষ অনেক আসে কিন্তু দাম শুনে চলে যায়। খুব অল্প সংখ্যক মানুষ শেষ পর্যন্ত কেনাকাটা করতে পারে। অন্যান্য ঈদের সময়ের চেয়ে এবারে দাম একটু বেশি।’

শেষ দশ রোজায় ভালো বিক্রির সম্ভাবনা দেখছেন আল হেলালের বিক্রেতা রাহাত। তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদের মার্কেটে একটু দেরিতে হলেও বিক্রি বাড়বে বলে আশা করা যায়। গত রোজার ঈদের এই সময়ে এত বেশি বেচাকেনা আমরা করতে পারিনি। এবারও তাই। আশা করছি শেষদিকে ভালো বেচাবিক্রি হতে পারে।’

পরশ নামের একটি দোকানের বিক্রেতা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সেভাবে এখনও বেচাবিক্রি নাই। হতে পারে এখনো বেতন বোনাস হাতে পায়নি। তাই দামাদামি করে মানুষ চলে যাচ্ছে। আর ক্রেতারা কম দামে ভালো জামাকাপড় খুঁজবে এটাই স্বাভাবিক। আমরাও চেষ্টা করছি ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে। কিন্তু চাইলেও সবকিছু হয় না।’

চৌমুহনী থেকে আসা ক্রেতা সাহিনা সুলতানা বলেন, ‘যে দোকানেই যাই জিনিস পছন্দ হলেও দাম বেশি। তাই ইচ্ছা থাকলেও কিনতে পারছি না। গতবারের চেয়ে এবার জামা কাপড়ের দাম বেশি মনে হচ্ছে। শেষ পর্যন্তু শপিং করতে পারবো কিনা তাই ভাবছি এখন।’

দীর্ঘ ৫ বছর ধরে আজমির শপিং নামের দোকানে কাজ করছেন মো. মানিক। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে গত কয়েক বছর ব্যবসা বাণিজ্য ভালো যাচ্ছে না। আমরা তো সারাবছরই বিক্রি করি। তবে শুরু থেকে ক্রেতাদের মোটামুটি ভিড় দেখা যাচ্ছে। তবে সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। মানুষ আসছে কিন্তু কিনছে না।’

মেয়েকে নিয়ে বাবা রহমান এসেছেন জুতার দোকানে। তিনি বলেন, ‘মেয়ের জন্য জুতা কিনতে এসেছি। এখানে ভালো জুতার কালেকশন পেয়েছি। দাম একটু বেশি। চারদিন ধরে ঘুরে বহু দামাদামির পর দুই জোড়া জুতা কিনতে পেরেছি। দাম আরেকটু কম হলে আরেক জোড়া জুতা বেশি কিনে নিয়ে যেতে পারতাম।’

অন্যদিকে, লাকি প্লাজা দোকান মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘মোটামুটি সারা বছরই বেচাবিক্রি হয় আমাদের এখানে। নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের প্রথম পছন্দ আমাদের মার্কেট। এ বছর ঈদে এখনো পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়নি। সবার হাতে বেতন বোনাস এলে শেষদিকে আশা করি ভালো বেচাবিক্রি হবে। আমরা আশা করছি এই মার্কেটে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বেচাবিক্রি হতে পারে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়