চার বোতল মদ পার্সেল না দেওয়ায় ভাঙচুর-মারধর করেন পরীমণি

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
চার বোতল মদ পার্সেল না দেওয়ায় ভাঙচুর-মারধর করেন পরীমণি

ঢাকাই ছবির আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে সাভারের বোট ক্লাবে ভাঙচুর ও পরিচালক নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধরসহ ভয়ভীতি দেখানোর সত্যতা পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সংস্থাটির দেওয়া চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়। একইসঙ্গে পরী মণিসহ দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল।

বাদীপক্ষের এই আইনজীবী গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। 

পিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটের বরাত দিয়ে আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘ঘটনার দিন মদ্যপ ছিলেন পরী মণি। ৪ বোতল মদ পার্সেল চান তিনি। সেটি না দেওয়ায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর করেন এবং অ্যাস্ট্রে ছুড়ে মারেন। ভাংচুর করা হয় ক্লাবে।’

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন জানান, পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে প্রমাণিত হয়েছে তিনি নির্দোষ। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও মিথ্যা। তাঁকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে।

২০২১ সালের ৬ জুলাই পরী মণির বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পরী মণি ও তাঁর সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তাঁরা বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরী মণি তাঁর পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তাঁরা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তাঁর সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরী মণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাঁদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরী মণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরী মণি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরী মণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরী মণি ও তাঁর সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।

এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরী মণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়