কানাডার বুকে একখণ্ড চট্টগ্রাম 

মারুফ শাহ চৌধুরী, কানাডা থেকে        

প্রকাশিত: ১৬:১০, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
কানাডার বুকে একখণ্ড চট্টগ্রাম 

জমকালো আয়োজনে হয়ে গেল ‘চট্টগ্রাম সমিতির কানাডা ইনক’ এর উদ্যোগে জমজমাট মেজবান, ফ্যামিলি নাইট ও পিঠা উৎসব। ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় দেশটির টরেন্টো চায়না কালচারাল সাংস্কৃতিক মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও কানাডায় বসবাসরত চট্টগ্রাম সমিতির চারশ জীবনসদস্যের পরিবার অংশ নেয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই প্রথম জীবনসদস্যদের পরিচিতিসহ ‘মেজবান ২৪ স্মরণিকা’বের করা হয়। 

উৎসবে চট্টগ্রাম সমিতির সদস্যদের পরিবার পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করে। এতে অংশগ্রহণকারী নারী সদস্যদের শাড়ি উপহার দেন সমিতির সভাপতি মনজুর চৌধুরীর। এতে অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করে বাণী প্রদান করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো,অনটারীয় প্রদেশের প্রিমিয়ার, টরেন্টো নগরের মেয়র, প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ডলি বেগম, চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার সভাপতি সাবেক অডিটর জেনারেল মুহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, কানাডার বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও কনসাল জেনারেল। 

সমিতির সভাপতি মনজুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশ ও কানাডার জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। এরপর আরমান কাজীর সম্পাদনায় ও নাজমুল হাসান চৌধুরী রুবেলের পরিচালনায় প্রদর্শিত চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আঞ্চলিক গান ও চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র দর্শকের ব্যাপক প্রশংসিত হয়। 

সাহেবা নাহিদ আখতারের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান এবং কৌতুক পরিবেশিত হয়। গানের তালে তালে মঞ্জু চৌধুরী দম্পতির নৃত্য দর্শকদের বেশ আনন্দ দেয়।  সদস্যদের নিয়ে আকর্ষণীয় ফ্যাশন শো দর্শকদের করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। এরপর পপ সঙ্গীত তালে তালে নাচতে থাকে কানাডার ভূখণ্ডে একখণ্ড চট্টগ্রাম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চট্টগ্রামের হারিয়ে যাওয়া পিঠা উৎসবও দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অনুষ্ঠান চলাকালীন বাদ যায়নি নানা রকমের নাস্তা ও কোমল পানীয় বিলিপর্ব। শেষে সবাইকে মেজবানে আপ্যায়িত করা হয়।

 

একপর্যায়ে বেজে উঠে বিদায়ের সুর। উপস্থিত দর্শকদের অভিনন্দন জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় সংবাদ পাঠক আসমা আহাম্মদ। এই উৎসব কানাডায় বসবাসরত চট্টগ্রামের অধিবাসীদের অনেকদিন মনে থাকবে। কেননা কানাডার ইতিহাসে চট্টগ্রামবাসীদের এ ধরনের উৎসব এটাই প্রথম।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়