Cvoice24.com

রিজভী-জিএম কাদেরকে আরও পড়াশোনা করার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:০৮, ১৫ জুলাই ২০২২
রিজভী-জিএম কাদেরকে আরও পড়াশোনা করার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করে মন্তব্য করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

তিনি বলেছেন, আমাদের বৈদেশিক ঋণের বিপরীতে সুদের ব্যয় হচ্ছে জিডিপি’র মাত্র ২ শতাংশ। সরকারি ঋণ হচ্ছে জিডিপির ৩৬ শতাংশ। জিডিপির ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত সরকারি ঋণ নেয়া যায়। সেই জায়গায় আমাদের ঋণ আছে মাত্র ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ কম আছে। আমাদের বৈদেশিক ঋণ জিডিপির মাত্র ১৬ শতাংশ। জিডিপির ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত  বৈদেশিক ঋণ নিরাপদ। সে জায়গায় আমরা বৈদেশিক ঋণ নিয়েছি জিডিপির মাত্র ১৬ শতাংশ। এই অর্থনৈতিক ইনডেক্সগুলো যে সমস্ত রাজনীতিবিদরা পড়েন না, তাদের কি বলবো। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও বিএনপির রুহুল কবির রিজভী শিক্ষিত মানুষ বলে জানতাম। তারা শিক্ষিত হয়েও অশিক্ষিতের মত বক্তব্য দিচ্ছেন। 

শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে গেছে বলে বিএনপির বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলার ২৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। এসময় বাংলাদেশ  শ্রীলঙ্কা হতে পারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যেরও জবাব দেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা এক জিনিস নয়। বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের একটি কিস্তি পরিশোধ করার ক্ষেত্রেও কখনো দেরি করেনি, সময়মতো ঋণ পরিশোধ করার ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরের দিকে। কয়েকদিন আগে কানাডাভিত্তিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান রিজিওনাল ক্যাপিটালিস্ট ব্লমবার্গ ডাটা নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ইনডেক্স প্রকাশ করছে। সেখানে  ২৫টি দেশের নাম দেয়া হয়েছে। সেই তালিকায় পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকা, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, তুরস্ক, মেক্সিকো, মরক্কোসহ বহু দেশের নাম থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের নাম নাই। এই সংবাদগুলো কী এই সমস্ত রাজনীতিবিদরা পড়েন না? না পড়েই তারা যে সমস্ত বক্তব্য রাখছেন, এগুলো তো গুজব রটানোর সামিল। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সেই কারণেই ব্লমবার্গের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যে ডাটা সংগ্রহ করেছেন। সেখানে অনেক বড় বড় দেশ আমাদের রাজনীতিবিদ যারা এই নিয়ে কথা বলছেন, তাদেরকে বলবো একটু পড়াশোনা করার জন্য।

নির্বাচনকে ভয় পায় বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংলাপে  বিএনপি অংশ নিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, প্রথমত বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় বলে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে যাচ্ছে না। আমরা আশা করবো তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, তারা ইসি সংলাপে যাবে। সেখানে গিয়ে তাদের ওজর-আপত্তি থাকলে সেটা জানিয়ে আসবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা আদালতের রায় মানেন না জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির আইজীবীরাই তো আদালতে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। বাংলাদেশের প্রধান বিচারালয়ে তারা লাথি মেরেছিল। তারা তো আইন-আদালত কোনটায় মানে না, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। আমাদের দেশে আইনের শাসন আছে বিধায় আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্যকে আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে জেলে  যেতে হয়, আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার হয়। বিএনপি আইন আদালত মানে না, সেজন্য তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়, আদালতের সাথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। আদালত কর্তৃক শাস্তি পাওয়া সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। সেজন্য মির্জা ফখরুলের উচিৎ বিবৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো। 

-সিভয়েস/আরকে/এআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়