Cvoice24.com

মাত্র দুজন ‘দায়দেনামুক্ত’
ব্যাংকের ‘বিরাট’ বোঝা পাঁচ প্রার্থীর মাথায়

মিনহাজ মুহী, সিভয়েস২৪

প্রকাশিত: ১৭:২৩, ২৩ মে ২০২৪
ব্যাংকের ‘বিরাট’ বোঝা পাঁচ প্রার্থীর মাথায়

ভোটের মাঠ পেরিয়ে জনপ্রতিনিধি হবেন তাঁরা। উপজেলার দায়িত্বও তুলে নেবেন নিজের কাঁধে। অথচ সবার মাথায় কোটি টাকা ব্যাংকঋণের বোঝা! এক কোটি দু কোটি নয়; ৭৩ কোটি টাকা পর্যন্ত ঠেকেছে ওই বোঝা। জনগণের পাওনা নাকি ব্যাংকের বোঝা— কোনটা তাঁরা সামলাবেন!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

হলফনামার তথ্যানুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ঋণের বোঝা বইছেন জাহেদুল হক। চারটি ব্যাংক থেকে তাঁর ঋণের পরিমাণ ৭৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭০ টাকা। পেশায় ব্যবসায়ী জাহেদুল হক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউসিবিএল ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ও এনসিসি ব্যাংক থেকে এসব ঋণ নিয়েছেন। কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা হলফনামায় উল্লেখ না থাকলেও তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালক বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর পরিচিতি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য।

পেশায় ব্যবসায়ী আরেক প্রার্থী মোহাম্মদ শফিউল আলম। আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক বোয়ালখালী শাখায় তাঁর ঋণ আছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা। 

১ কোটি ১৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৭৯ হাজার টাকা ঋণ আছে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. শফিকের। প্রবাসী শফিকের ব্যবসা বাড়ি ভাড়া। এক সময়ে যুক্ত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবেও।

অবসরযাপনে থাকা প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নুরুল ইসলামেরও আছে ঋণ। সাড়ে ১৮ লাখ টাকা ঋণ বোঝা তাঁর মাথায়। এবি ব্যাংকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা এবং সোনালী ব্যাংকে ১০ লাখ টাকা তাঁর ঋণের পরিমাণ। বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিমেরও আছে ব্যবসায়িক ঋণ। ঋণের উৎস লেখা না থাকলেও ঋণের পরিমাণ জানিয়েছেন হলফনামায়। সেখানে ঋণের পরিমাণ লিখেছেন ৩ লাখ ৫ হাজার ২০২ টাকা। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বাকি দুই প্রার্থীর ঋণ নেই এক টাকাও। সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম সেলিম ও নুরুল আমিন চৌধুরী একেবারে ‘দায়দেনামুক্ত’। তারা দুজনই পেশায় চাকরি করেন বলে উল্লেখ করেছেন হলফনামায়।

কার কত আয়

৭৩ কোটি টাকারও বেশি ঋণগ্রস্ত প্রার্থী জাহেদুল হকের কৃষি খাত, বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান, ব্যবসা এবং লভ্যাংশ  থেকে আয় করেন ২ কোটি ২৫ লাখ ১০ হাজার ২৫২ টাকা। তাঁর সবচেয়ে বড় আয় ব্যবসা থেকে। ১ কোটি ৯ লাখ ৫৭ হাজার ১৭২ টাকা আয় আসে ওই খাত থেকে। ব্যবসার আয়ে যা পান প্রায় সমান টাকা আসে অন্যান্য লভ্যাংশ থেকে। তাঁর লভ্যাংশের পরিমাণ ১ কোটি ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯ টাকা। এছাড়া বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৩১ টাকা, কৃষি খাত থেকে ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা আয় আছে তাঁর।

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ‘দেনাদার’ শফিউল আলম ব্যবসার মূলধন থেকে আয় করেন ২ কোটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ১১০ টাকা। বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান থেকে পান ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭০০ টাকা। ব্যবসা থেকে আসে ৬৫ হাজার ৪৮০ টাকা। সবমিলিয়ে ২ কোটি ৯১ লাখ ২৮ হাজার ২৯০ টাকা আয়-রোজগার চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল আলমের।

হলফনামায় পাওনাদার ব্যাংকের সন্ধান না দেওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকের মূল আয় বাড়ি ভাড়া। সেখান থেকে তার আসে ৫৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৫১ টাকা। শেয়ার-সঞ্চয়পত্র থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৪১ হাজার টাকা পান প্রবাসী শফিক। ৫৫ লাখ ২৩ হাজার ৬৯২ টাকা তাঁর মোট আয়।

‘অবসরযাপনে’ থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নুরুল ইসলামের একমাত্র ভরসা ‘মুক্তিযোদ্ধা ভাতা’। মাত্র ২০ হাজার টাকাই তাঁর সম্বল। 

ব্যবসায়িক ঋণগ্রস্ত বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের মোট আয় ৩ কোটি ৩০ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪৭ টাকা। এরমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানি ভাতা ১ লাখ ২১ হাজার ৪৫০ টাকা। ব্যবসায় তাঁর আয় ৩ কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ১৮৭। এফডিআরে রাখা টাকায় তাঁর সুদ আসে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬০ টাকা। কৃষিখাত থেকেও সাড়ে ২৭ হাজার টাকা আয় করেন ‘চেয়ারম্যান রাজা’।

‘দায়দেনামুক্ত’ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম সেলিম চাকরি করে পান ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২৫ হাজার টাকা ব্যাংক সুদ পান সাবেক এই ভাইস চেয়ারম্যান। সব মিলিয়ে তাঁর আয় ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

‘দায়দেনামুক্ত’ আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুরুল আমিন চৌধুরীর চাকরি থেকে আয় ১৭ লাখ ২ হাজার ৩১৮ টাকা। এটা তার একমাত্র আয় এবং ভরসা।

কার কত সহায়-সম্পদ

জাহেদুল হক : ব্যাংকে কোনো জমাজাতি নেই জাহেদুল হকের। তবে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে ২৮ কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৯৭০ টাকা জমা তাঁর। হাতে নগদে আছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৪ টাকা। ১ কোটি ৫৪ লাখ ১০ হাজার টাকার বাস-ট্রাক মোটর গাড়ির মালিক তিনি। এছাড়া আড়াই লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং ১ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকার আসবাবপত্র আছে তাঁর। তবে স্বর্ণালংকার বলতে তাঁর আছে মাত্র ১ হাজার টাকা মূল্যের।

এদিকে, তাঁর স্ত্রীর ব্যাংকে জমা আছে মাত্র ২২ হাজার ৭শ’ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে জমা ১২ কোটি ৯০ লাখ ৯৫০ টাকা। আর হাতে নগদে আছে ৬৬ হাজার ৩৫ টাকা। এছাড়া, ১ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার টাকার বাস-ট্রাক মোটর গাড়ির মালিক হওয়ার পাশাপাশি ২ কোটি ৭২ লাখ ৪শ’ টাকা জমা আছে পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটের নামে। আর ৫০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্রের পাশাপাশি রয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণলংকার।

জাহেদুল হকের কৃষি জমি আছে ৮০ লাখ ১০ হাজার ৩শ’ টাকা। অকৃষি জমি ৩ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার ৪৬০ টাকা। আর তাঁর স্ত্রীর কৃষি জমি না থাকলেও অকৃষি জমি রয়েছে ৫ লাখ টাকা মূল্যের। এছাড়া, ২ কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৫ টাকা মূল্যের দালান, আবাসিক ভবন রয়েছে তাঁর। আর স্ত্রীর বাড়ি রয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা মূল্যের।

মোহাম্মদ শফিউল আলম : মোহাম্মদ শফিউল আলমের অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যাংকে জমাজাতি রয়েছে ২১ লাখ ৩ হাজার ৯৯৮ টাকা। তবে ৩১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার বাস-ট্রাক মোটর গাড়ির মালিক তিনি। এছাড়া ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬শ টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং ১ লাখ ৩১ হাজার ৩শ’ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র রয়েছে তাঁর। আর পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটের নামে রেয়েছে ১০ হাজার ৩শ’ টাকা এবং বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে জমা মাত্র ৩ হাজার টাকা। তবে স্ত্রীর নামে কোনো অস্থাবর সম্পদ নেই বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

এছাড়া তাঁর স্থাবর সম্পদ হিসেবে অকৃষি জমি ৪৩ লাখ ৮৫ হাজার ১৪২ টাকা এবং অর্জনকালীন সময়ের আর্থিক মূল্য হিসেবে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৩শ’ টাকা। এছাড়া, ২৮ লাখ টাকা মূল্যের দালান এবং ২ কোটি ১৩ লাখ ৬১ হাজার ৪৮ টাকা মূল্যের বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে তাঁর। অস্থাবর সম্পদের মতো স্ত্রীর নামে নেই স্থাবর সম্পদও।

মো. শফিক : অস্থাবর সম্পদ হিসেবে মো. শফিকের ব্যাংকে জমা আছে ৭ কোটি ১২ লাখ ৬৪ হাজার ২৫৯ টাকার। তবে জমাজাতির চেয়ে বেশি বাস-ট্রাক মোটর গাড়ি। যার হিসেবে ৩০ কোটি ৩৫ হাজার টাকার মালিক তিনি। এছাড়া হাতে নগদে আছে ১০ লাখ টাকা এবং ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার রয়েছে তাঁর। তবে অস্থাবর সম্পদ নেই তাঁর স্ত্রীর।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে শফিকের কৃষি জমি রয়েছে ১৬ লাখ টাকা মূল্যের। অন্যদিকে ২৮ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার ২শ’ টাকা মূল্যের দালান রয়েছে তাঁর। একইভাবে তাঁর স্ত্রীর নামে নেই স্থাবর সম্পদও।

এস এম নুরুল ইসলাম : বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম নুরুল ইসলামের অস্থাবর সম্পদ হিসেবে এফডিআর রয়েছে ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া, ১ লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র, ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি মোটরযানের মধ্যে শুধুমাত্র একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক তিনি। তবে স্ত্রীর নামে নেই কোনো অস্থাবর সম্পদ।

আর স্থারব সম্পদ হিসেবে তাঁর ১১০০ বর্গফুট বিশিষ্ট একটি ফ্ল্যাট ছাড়া নেই আর কিছুই। এদিকে বরাবরের মতোই তাঁর স্ত্রীর নামে নেই কোনো স্থাবর সম্পদও।

রেজাউল করিম রাজা : অস্থাবর সম্পদ হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান রাজার ব্যাংকে জমাজাতি রয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৬ টাকা। আর ২০ লাখ টাকা মূল্যের বাস-ট্রাক মোটর গাড়ির মালিক তিনি। এছাড়াও, তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৮ লাখ ১৩ হাজার ৮৭ টাকা, ইলেকট্রনিক সমাগ্রী ৫ লাখ ২২ হাজার ৫শ’ টাকা, আসবাবপত্র ৭ লাখ ৬২ হাজার ৫শ’ টাকা এবং ৩০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার রয়েছে তাঁর। তবে তাঁর স্ত্রীর নামে নেই কোনো অস্থাবর সম্পদ।

এদিকে, তাঁর নামে স্থাবর সম্পদ রয়েছে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৪ টাকা মূল্যের কৃষি জমি, ৪৫ হাজার ৯শ’ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি এবং চা বাগান-রাবার বাগান-মৎস্য খামার রয়েছে ৮ লাখ ৫৯ হাজার ৬শ’ টাকা মূল্যের। তবে তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো অস্থাবর সম্পদ না থাকলেও ৮ লাখ ৫৯ হাজার ৬শ’ টাকা মূল্যের স্থাবর রয়েছে। যা চা বাগান-রাবার বাগান-মৎস্য খামার হিসেবে দেখানো হয়েছে।

এস এম সেলিম : ‘দায়দেনামুক্ত’ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম সেলিমের অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যাংকে জমা আছে ৮ লাখ ৫ হাজার টাকা। আর হাতে নগদ আছে ১ লাখ টাকা। এছাড়া, সাড়ে ৩ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার, ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র রয়েছে তাঁর। 

এদিকে, স্থাবর সম্পদ হিসেবে তাঁর কোনো কিছু নেই, যা আছে তা যৌথ মালিকানায় এবং মূল্য অজানা। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো অস্থাবর সম্পদ না থাকলেও স্থাবর সম্পদ হিসেবে দেখানো হয়েছে মাত্র একটি দোকান রয়েছে।

নুরুল আমিন চৌধুরী : ‘দায়দেনামুক্ত’ আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুরুল আমিন চৌধুরীর অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যাংকে জমা রয়েছে মাত্র ৩১ হাজার ৩৪৩ টাকা। তবে পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটের নামে রয়েছে ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং হাতে নগদ রয়েচে ৫৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭৯ টাকা। আর ২ লাখ ৯৯ হাজার ৫শ’ টাকার বাস-ট্রাক মোটর গাড়ির মালিক তিনি। এছাড়া, আসবাবপত্র রয়েছে অর্ধ লাখ টাকা মূল্যের। তাঁর বিপরীতে স্ত্রীর রয়েছে হাতে নগদ ১১ লাখ ৮১ হাজার ৯২৯ টাকা, পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটের নামে ৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা এবং ৪০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার।

এছাড়া, তাঁর স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে শুধুমাত্র ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৩ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি। তবে তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর সম্পদ নেই বলে জানিয়েছেন হলফনামায়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়