Cvoice24.com

বাঙালি সংস্কৃতির মূল অনুসঙ্গ সম্প্রীতি: ভারতীয় হাইকমিশনার

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ১ মার্চ ২০২৪
বাঙালি সংস্কৃতির মূল অনুসঙ্গ সম্প্রীতি: ভারতীয় হাইকমিশনার

ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজিব রঞ্জন বলেছেন, আবহমান কাল থেকেই বাংলাদেশের মানুষের মাঝে ধর্মীয় সম্প্রীতির সদ্ভাব বজায় রয়েছে। পারস্পরিক প্রণয়, আনুকূল্য, মিত্রতা, সখ্য ও সৌহার্দ্য সম্প্রীতিময় বাঙালি সংস্কৃতির মূল অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার সকালে (১  মার্চ) চট্টগ্রাম নগরের কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী ফিরিঙ্গি বাজার ব্রিজ ঘাটায় মহাসমারোহে যুগ-পুরুষোত্তম পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৬তম জন্ম- মহোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার।

সৎসঙ্গ বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জন্মদিবস উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক ভক্ত শুভানুধ্যায়ীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে উৎসব প্রাঙ্গণ।

দিনব্যাপী উৎসবে প্রায় বিশ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবা দিতে দেশে এসেছেন একদল ভারতীয় চিকিৎসক। ডা. টিপু মজুমদার ও ডা. অজয় ভট্টাচার্য্যর সঞ্চালনায় চিকিৎসা সম্মেলনে যোগ দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ সহযোগী অধ্যাপক ডা. নিতাই প্রসাদ দত্ত, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রতীক চৌধুরী, ডা. সৌমেন চৌধুরী, ডা. সৌরভ সাগর, ডা. প্রভাল চক্রবর্তী, ডা. বিউটি পাল নন্দী, ডা. লাবনী দে, ডা. সুদীপ চৌধুরী, ডা. মৃত্তিকা দত্ত, ডা. স্মরণ কর, ডা. টিপু মজুমদার, ডা. অজয় ভট্টাচার্য্য, ডা. সুকুমার নন্দী।

বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহের পাশাপাশি লক্ষাধিক ভক্তবৃন্ধের মাঝে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জন্ম- মহোৎসবে।

সকালে মাঙ্গলিক বেদ পাঠ ও ঊষা কীর্তনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া দিনব্যাপী এই জন্ম-মহোৎসবে চিকিৎসা সম্মেলন ও চিত্র প্রদর্শনী ছাড়াও মাতৃসম্মেলন, শিশু-কিশোরদের নিয়ে আয়োজিত ও পরিচালিত সৎসঙ্গ, সংগীতানুষ্ঠান,  সাধারণ সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দের সভাপতিত্বে বিকেলে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, সৎসঙ্গ বাংলাদেশের সহ সম্পাদক সুব্রত আদিত্য, নটো কিশোর আদিত্য, তিমির সেন।স্বাগত বক্তব্য রাখেন  সনত কুমার ঘোষ,চন্দন ভট্টাচার্য,প্রকৌশলী বিজয় কিষাণ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দও বলেন, সন্ধ্যাকালীন সময়ে কর্ণফুলী নদীর তীরে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে প্রার্থনার দৃশ্য দেখে স্বর্গীয় অনুভূতিতে অভিভূত হয়েছি এবং সামাজিক অবক্ষয় রোধে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জীবন অনুসরণের বিকল্প নেই। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেন, যে কর্ম মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়,সে মানুষ তৈরির মাধ্যমে সমাজের অবক্ষয় থেকে মুক্তি সম্ভব।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রুনু মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের শিক্ষক প্রফেসর ড. উদিতি দাশ, সৎসঙ্গ বাংলাদেশের সভাপতি তিমির সেন, সাধারণ সম্পাদক কিশোর আদিত্য, সহ সভাপতি অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দে, ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জন্ম- মহোৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী সনৎ কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক বিকাশ দাশসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়