সেই লালবোটের মাঝিকে থানায় নিলো পুলিশ
সিভয়েস প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে যে লালবোটে উঠতে গিয়ে মগধরার আব্দুল মান্নান সারেং নদীতে পড়ে গেছেন বলে বলা হচ্ছে সেই বোটের মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
এর আগে শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নিখোঁজ আব্দুল মান্নানের স্ত্রী শেফা বেগম সন্দ্বীপ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পরই লালবোটের মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বিষয়টি সিভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
সিভয়েসকে তিনি বলেন, 'শেফা বেগম নামে একজন জিডি করেছেন তার স্বামী আব্দুল মান্নান কাল থেকে নিখোঁজ। তিনি চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ আসার পথে বোট থেকে পড়ে গেছেন সহযাত্রীদের কাছ থেকে এমনটাই জেনেছেন শেফা বেগম। কাল বোটের মাঝি আব্দুল কাদের ইউএনও মহোদয়ের অফিসে বলেছিল একজন নদীতে পড়ছে। সে উঠে আবার বাড়ি চলে গেছে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আমরা থানায় এনেছি।'
প্রসঙ্গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চট্টগ্রামের কুমিরা থেকে যাত্রী নিয়ে গুপ্তছড়া ঘাটে আসা একটি কাঠের সার্ভিস বোট থেকে লালবোটে নামার সময় এক যাত্রী নদীতে পড়ে যায় বলে জানাচ্ছিল সার্ভিস বোটের যাত্রীরা। এসময় লালবোট ও স্পিডবোট দিয়ে ওই যাত্রীকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হলেও শেষতক তিনি নদীতে ডুবে যান বলে দাবি করেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর।
কিন্তু ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছিলো এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। একজন নদীতে পড়ছিলো সে হেঁটে বাড়ি চলে গেছে। সন্ধ্যা নাগাদ জানা যায়, আব্দুল মান্নান নামে ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ সন্দ্বীপ আসার জন্য চট্টগ্রাম থেকে রওয়ানা করে বোটে উঠে তার পরিবারকে জানিয়েছিলেন। এর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। পরে সার্ভিস বোটের যাত্রীদের মধ্যে একজনের তোলা ছবি দেখে ওই বোটেই আব্দুল মান্নান ছিলেন সেটি শনাক্ত করেন তার মেয়ে চাদনী। চাদনী যাকে শনাক্ত করেন সে লোকটাই সকালে নদীতে ডুবে গেছে বলে শনাক্ত করে প্রত্যক্ষদর্শী তানভীর।
গত ২৮ ঘণ্টারও বেশি সময় নিখোঁজ রয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী আব্দুল মান্নান। পেশায় তিনি একজন সারেং ছিলেন। এক বছর যাবত তিনি অবসরে আছেন। অসুস্থতাজনিত কারণে চট্টগ্রামে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। তার পরিবারে দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে। এর মধ্যে দুই মেয়ে বিবাহিতা এবং ছেলে প্রবাসী।
-সিভয়েস/এআরটি/