Cvoice24.com

প্রশাসনের অনিয়ম তদন্তে ইউজিসির কমিটি 

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
প্রশাসনের অনিয়ম তদন্তে ইউজিসির কমিটি 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ইউজিসির পাবলিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান সাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের একাডেমিক ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা এবং আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা যথার্থ ছিল কি-না সে বিষয়ে কমিশনের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য সন্তোষজনক নয়। উক্ত দুটি বিষয়সহ সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম সম্পর্কিত খবরের বিষয় তদন্তপূর্বক কমিশন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দকে। এছাড়া ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রেজাউল করিম হাওলাদারকে সদস্য এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীরকে সদস্য-সচিব করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৪ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের একাডেমিক ভবন উদ্বোধনের একদিনে তিন খাতে সাড়ে ৬৭ লাখ টাকা খরচ দেখিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এই অস্বাভাবিক খরচ নিয়ে এখনও ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে নানা সমালোচনা।

এ ছাড়া বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির আপত্তির মুখেই গত ১৭ ডিসেম্বর আইন বিভাগ ও ১৮ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিয়োগ বোর্ড ডাকা হয়। ১৭ ডিসেম্বর আইন বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ে অবস্থান করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। কোনো সুরাহা না হলে, উপাচার্য ও উপউপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ১৮ ডিসেম্বর থেকে টানা কর্মসূচী ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচী পালন করে সমিতি। শীতকালীন বন্ধ ও নির্বাচনের কারণে ২২ ডিসেম্বর থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচী স্থগিত ছিল। সর্বশেষ ১৪ জানুয়ারি থেকে আবারও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক সমিতি।

গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার সম্প্রতি নতুন নিয়োগ পাওয়া দুজন মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেয়ার ঘটনায় ব্যাখ্যা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এবারই প্রথম এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে ইউজিসিকে। অতীতে কখনও কোনো উপাচার্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আসেনি। এছাড়া ব্যয় করা অর্থের উৎস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে নানা আলোচনা। যদিও সমালোচনা হওয়ার পরেরদিনই ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ বলছেন, বিজ্ঞাপন বাবদ অর্থ উপাচার্য তাঁর ব্যক্তিগত খাত থেকে বহন করবেন।

এই তিন ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়