পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় প্রাণ গেল ১৪ জনের

বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর পশ্চিমবঙ্গ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে কোথাও কোথাও। গত দুদিনের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১৪ জন রাজনৈতিক কর্মী। অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে বলে খবর প্রকাশ করছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।

এবারের ভোটে নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪৮টি আসনের। তৃণমূল অবশ্য পেয়েছে ২১৩টি আসন। অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছে ৭৭টি এবং বামজোট ও অন্যান্যরা পেয়েছে একটি করে আসন।

এই ফল প্রকাশের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে চলছে দফায় দফায় সংঘর্ষ। বিজেপির দাবি, ভোটের ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের আক্রমণে তাদের তাদের নয় কর্মী নিহত হয়েছেন। আবার তৃণমূলের দাবি, তাদের চার কর্মীর মৃত্যু হয়েছে পরাজিত বিজেপির আক্রমণে। উত্তর চব্বিশ পরগনার দেগঙ্গায় নিহত হয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) এক কর্মী। তবে এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনতার কাছে আবেদন জানিয়েছেন, সবাইকে সংযত থাকার জন্য। নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘হিংসা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকতে হবে। শান্ত থাকুন। অভিযোগ থাকলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। শান্তি-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পুলিশের।’

অন্যদিকে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রতাপ নাড্ডা। 

পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ডেকে রাজভবনে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর।