ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে কারাবন্দীরা, সংসদে বিল পাস  

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ৯ মে ২০২৪
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে কারাবন্দীরা, সংসদে বিল পাস  

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন সেদেশের কারাবন্দিরা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও করতে পারবেন- এমন একটি নতুন বিল পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। তবে এই বন্দীদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান হবে স্বেচ্ছায় এবং এই সুযোগ শুধুমাত্র কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্যই উন্মুক্ত।

বুধবার (৮ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের পার্লামেন্ট একটি বিল পাস করেছে যার ফলে কিছু বন্দি এখন থেকে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিয়ে লড়াই করতে সক্ষম হবেন। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে সৈন্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে এবং বিপরীতদিকে রাশিয়ান বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে।

আল জাজিরা বলছে, ইউক্রেনের পার্লামেন্টে নেওয়া বুধবারের এই পদক্ষেপটিকে কিয়েভের দীর্ঘদিনের নীতির ইউ-টার্ন হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের কোনও ব্যবস্থার বিরোধিতা করে আসছিল এবং সেনা ঘাটতি পূরণের জন্য রুশ বন্দিদের লড়াইয়ের ময়দানে পাঠানোর বিষয়ে মস্কোর সমালোচনাও করে আসছিল কিয়েভ।

অবশ্য পার্লামেন্টে পাসের পর বিলটিকে আইনে পরিণত করার আগে পার্লামেন্টের চেয়ারপারসন ভারখোভনা রাদা এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বাক্ষর করতে হবে।

এদিকে জেলেনস্কির পার্টির প্রধান এমপি ওলেনা শুলিয়াক এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘(বিলের পক্ষে) পার্লামেন্ট হ্যাঁ ভোট দিয়েছে। তবে এই বন্দিদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান হবে স্বেচ্ছায় এবং এই সুযোগ শুধুমাত্র কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্যই উন্মুক্ত। যে সকল বন্দির সাজা ভোগের মেয়াদ শুধুমাত্র তিন বছরের কম বাকি রয়েছে তারাই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার যোগ্য’ 

তিনি বলেন, যৌন সহিংসতা, দুই বা ততোধিক লোককে হত্যা, গুরুতর দুর্নীতি এবং সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে যাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তারা সামরিক বাহিনীতে সেবা করার যোগ্য নয় বলে বিবচিত হবে।

এদিকে কয়েদিদের যুদ্ধে নিয়োজিত করার পক্ষে প্রচারণা চালানো প্রতিষ্ঠান প্রোটেকশন ফর প্রিজনারস অব ইউক্রেন গৃহীত আইনের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ওলেগ সিভিলি জানান, আমরা আইনটির পেছনের ধারণাকে সমর্থন করি, কিন্তু যে আইনটি গ্রহণ করা হয়েছে সেটি বৈষম্যমূলক। এই আইনের আওতায় কোনো কয়েদি ছুটি নিতে পারবে না, এবং তাদেরকে যদি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করতে হয় তবে তা তাদের সাজার চাইতেও বেশি হবে। যুদ্ধে যোগ দেয়া কয়েদিদের জন্য বিশেষ ইউনিট গঠনের ফলে কয়েদিদের শোষণ করা হতে পারে।
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়