চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ৯ মে ২০২৪
চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

চট্টগ্রাম বন্দরের সমুদ্রতীরের কাছাকাছি এলাকায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় প্যারাসুটের মাধ্যমে নিচে নেমে এলেও আহত হয়েছেন ওই বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে বিমানটি আছড়ে পড়ে। 

সিভয়েস২৪-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল। তিনি বলেন, ‘ওয়াইএকে১৩০ নামক যুদ্ধবিমানটি চট্টগ্রাম বন্দরের সমুদ্রতীরের কাছাকাছি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এ সময় বিমানে থাকা পাইলট ও কো-পাইলট আহত হন।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুযায়ী, বিমানটি পতেঙ্গার বোট ক্লাবের ওপর দিয়ে উড্ডয়নরত অবস্থায় ছিল। হঠাৎ বিমানের পেছনের দিকে আগুন দেখা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি বিধ্বস্ত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে যায়।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘বিমানের পাইলট ও কো-পাইলটকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিমানটি উদ্ধারে কাজ চলছে।’

এর আগে, ২০১৫ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান বিএএফ ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়নের পর সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এরপর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পতেঙ্গা বোট ক্লাবের কাছে একটি বিএএফ যুদ্ধবিমান কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়। সেসময় পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট আহমেদ সানজিদ প্যারাসুট ব্যবহার করে নেমে রক্ষা পান।

২০১১ সালের ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। ওই সময় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মুনতাসিন বিমান থেকে বের হতে সক্ষম হন।

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়