ছাত্রকে বলাৎকার, রাঙামাটিতে শিক্ষক গ্রেপ্তার

রাঙামাটি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১০:০৬, ৫ মে ২০২৪
ছাত্রকে বলাৎকার, রাঙামাটিতে শিক্ষক গ্রেপ্তার

তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের রাজনগর মুহাম্মদিয়া জামিয়া শরিফ নামের এক মাদ্রাসার। যে প্রতিষ্ঠানটিতে ঢাকার রাজারবাগ দরবার শরিফ হতে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়।

জানা যায়, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ ফারুক (৭০)। তিনি এই মাদ্রাসার বাংলা বিষয়ে শিশুদের পড়ান কয়েক বছর হলো। এর আগে তিনি পুলিশে কর্মরত ছিলেন বলে জানায় এলাকাবাসী। 

ভুক্তভোগী শিশুদের একজনের মামা জানান, শিক্ষক ফারুক আহমেদ বাগান থেকে বাঁশ আনবে বলে বুধবার (১ মে) শিশু শিক্ষার্থী আমার ভাগিনাকে বাঁশ বাগানে নিয়ে যায়। বাগানের টং ঘরে শিশুটিকে বলাৎকার করে এবং কাউকে বলতে নিষেধ করে ৫০ টাকা চকলেট খেতে দেয়। এরপর শুক্রবার (৩ মে) আমার শিশুপুত্রকেও বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাঁশ বাগানের একই স্থানে গিয়ে বলাৎকার করে। শিশুটি বাড়িতে ফিরে অসুস্থ বোধ করলে পুরো ঘটনা জানতে পারি আমরা। এরপর আমরা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে জানালে তারা শুক্রবার রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে। এরপর শনিবার সকালে আমরা থানায় মামলা করি। আমরা এই ভণ্ড শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই।

এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও একই মাদ্রাসার  অন্য কয়েকজন ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ উঠলে এলাকার মানুষজন তা স্থানীয়ভাবে সমাধান করে দেওয়া হয়। 

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে মাদ্রাসা প্রধান মাওলানা হাফিজ বলেন, শুক্রবার আমাদের মাদ্রাসা বন্ধ ছিলো। ফারুক স্যার আমাকে কল দিয়ে জানায়, তিনি বাগান থেকে কিছু বাঁশ আনবেন। সেই সুবাদে মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে লোক মুখে শুনি তিনি সে-ই ছাত্রদের বলৎকার করেছে। যদি এর সত্যতা পাই তাহলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মাওলা বলেন, শিশুদের পরিবার আমার কাছে আসলে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসি। দুই পক্ষের কথা শুনে আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে সহযোগিতা করি।

গুলশাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওলি উল্লাহ জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে অভিযুক্ত ফারুক আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। পরে তাকে লংগদু থানায় হস্তান্তর করি।

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ জানান, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযোগ আমলে নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়