পাহাড়ধসের শঙ্কা
তিন পাবর্ত্য জেলায় ৬ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র
রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিভয়েস২৪
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে পার্বত্যাঞ্চলে পাহাড় ধসের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর থেকে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানে শুরু হয়েছে মাইকিং। সতর্ক করা হয়েছে ঝুঁকিতে বসবাসরত মানুষকে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।
রাঙামাটিতে ঝুঁকি দেখলে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে মাইকিং করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় পৌরসভায় ২৯টিসহ ১০ উপজেলায় ৩২২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এছাড়াও পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংগঠনসমূহকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
রবিবার (২৬ মে) মধ্যরাত থেকে রাঙামাটিতে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে জেলার কোথাও কোন ভারি বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়নি এবং কোনো পাহাড় ধসের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে রাঙামাটির শহরের ভেদভেদী, রূপনগর, শিমুলতলীসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে অন্তত ১০ হাজারের বেশিও মানুষ। বসবাসকারীরা বলছে, ভারি বর্ষণ হলে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাবে।
অপরদিকে বান্দরবানেও শুরু হয়েছে থেমে থেমে বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২১৪ টি আশ্রয় কেন্দ্র।
অন্যদিকে পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়িতেও শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শহরের ১০টিসহ জেলায় শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে স্বস্তির খবর, তিন পার্বত্য জেলার কোথাও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। ভারি বৃষ্টি শুরু হলে ঝূঁকিতে থাকা এসব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র আসতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে স্বাভাবিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে স্বাভাবিক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনও।