Cvoice24.com

১২ দিন ধরে অন্ধকারে বান্দরবানের রুমা 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৩১, ১৯ আগস্ট ২০২৩
১২ দিন ধরে অন্ধকারে বান্দরবানের রুমা 

পার্বত্য শহর বান্দরবানে ভয়াবহ বন্যার পর ১২ দিনেও বিদ্যুৎ আসেনি রুমায়। সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল না হলে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি ধসের কারণে বিলীন হওয়ার কারণে আগামী এক সপ্তাহের যোগাযোগ পরিস্থিতির উন্নতি দেখছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এমন পরিস্থিতিতে অন্ধকারের মধ্যেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।

রুমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহাবুদুল হক সিভয়েসকে বলেন, বান্দরবান ‘Y’ জংশন থেকে ১০ স্থানে পাহাড়ি মাটির কারণে রাস্তা অবরুদ্ধ অবস্থা। অন্যদিকে প্রায় ১৫টি স্থানে রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা নদী পথে যাতায়াত করলেও সড়ক পথ পুনরায় সচল না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কাজ ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে পৌঁছাতে পারে না। 

তিনি আরও বলেন, সড়ক ও ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড যৌথ ভাবে পাহাড়ি মাটি ও বিকল্প সড়ক নির্মাণে কাজ করছে। তবে সড়কের বেহাল দশা দেখে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বান্দরবান থানচি সড়ক সচল হবে কিনা এই নিয়ে সন্দিহান তিনি।

বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন সিভয়েসকে বলেন, গত চার দিন পর আজকে থেকে থানচি উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ এসেছে। কিন্তু রুমা উপজেলায় সড়কে বেহাল দশায় আমরা ক্ষতিগ্রাস্থ স্থানে যাওয়া যাচ্ছে না। ভারি বর্ষণে কারণে বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে ট্রান্সফরমার। এই অবস্থায় সড়কের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুতের সংযোগের কাজ ধরা যাচ্ছে না। 

এদিকে আগামী এক সপ্তাহ পর শুরু হচ্ছে আসন্ন এইচএসএসি পরীক্ষা। ২৭ আগস্ট থানচি ও রুমা উপজেলার মিলে মোট ৩০০ জন বসবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। প্রাকৃতিক দূযোগের কারণে অন্ধকারে বসে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে রুমা উপজেলার পরীক্ষার্থীরা। ২০২৩ সালে মোট ৯৮ জন অংশগ্রহণ করবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। থানচি ও রুমা দুই উপজেলার ৩০০ জন পরীক্ষার্থীর কেন্দ্র বসবে রুমা সরকারী কলেজে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়