ফটিকছড়ির মুক্তিযোদ্ধা হারুন বশর হত্যা, পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:২৩, ১০ জানুয়ারি ২০২৩
ফটিকছড়ির মুক্তিযোদ্ধা হারুন বশর হত্যা, পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন বশর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও একজন সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম এ আদেশ দেন।

তারা হলেন— মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন ও সাক্ষী শাহ জাহান।

জানা গেছে, ১৯৯২ সালের ৮ মে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ ফটিকছড়িতে ছাত্রলীগের একটি সম্মেলনে গিয়েছিলেন। ফটিকছড়ির মোহাম্মদ তকির হাটে দুপুরের দিকে শিবিরের একটা সশস্ত্র বাহিনী ট্রাকে এবং বাসে করে এসে সম্মেলনে আক্রমণ করে। সেখানে ফায়ারিংয়ে ছাত্রলীগকর্মী জমির উদ্দিন মারা যায়। পরে তকির হাট ও রাউজান হয়ে চট্টগ্রামে আসার পরিকল্পনা করেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফসহ ভুজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক হারুন বশর। তারা মোহাম্মদ তকির হাট পৌঁছালে একই পোশাকে ২০-২৫ জন অস্ত্র নিয়ে তাদের গাড়ি ঘিরে ফেলে। এসময় তারা হারুন বশরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের গাড়িচালক ইদ্রিস বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এতে ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এর মধ্যে আটজনের মৃত্যুর পর এখন আসামি আছেন ২৩ জন। ২০০২ সালের ২৫ জুন আদালতে অভিযোগ গঠন হয়। অভিযোগপত্রের প্রধান আসামি দিদারুল আলম জামিনে আছেন। এই মামলার আসামি মো. নাছির উদ্দিন (শিবির নাছির) ও শফিউল আলম বর্তমানে কারাগারে আছেন।

চট্টগ্রামের জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ধরে হারুন বশর হত্যা মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া থমকে আছে। আদালতে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও একজন সাক্ষীকে হাজির করতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মামলাটি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়