Cvoice24.com

দাবি আদায়ে চবির চারুকলার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:০৩, ১০ নভেম্বর ২০২২
দাবি আদায়ে চবির চারুকলার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এবার সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছেG

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এবার সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছে। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় ইনস্টিটিউটের বাইরে বাদশা মিয়া সড়ক অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। এ সময় শিক্ষকরা চারুকলা বিভাগ স্থানান্তরসহ ২২ দফা দাবির ব্যাপারে কোন প্রকার সিদ্ধান্ত না জানিয়েই ইনস্টিটিউট ত্যাগ করেন। 

দুদিনের সময় নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত না জানিয়ে শিক্ষকরা বেরিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ দাশ।

তিনি বলেন, আজকে প্রশাসন আমাদের চারুকলা বিভাগ স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তারা আমাদের তাদের পিঠ দেখিয়ে ইন্সটিটিউট থেকে চলে যায়। আমরা এখন আর শান্তিপূর্ণ আন্দলনে থাকবো না। আমাদের এইবারের আন্দলনে আরও জোরদার হবে। 

এর আগে গত ২ নভেম্বর থেকে আবাসিক হল নিশ্চিতকরণ, নিজস্ব বাস চালু, ডাইনিং-ক্যান্টিনের সুব্যবস্থা ও পাঠাগার সংস্কারসহ ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ডাক দেয় ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

রাস্তা অবরোধের বিষয়ে চারুকলার চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম বলেন, ‘আমরা আজ নবম দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে মিটিংয়ে বসেছে। কিন্তু কোন সমাধান দিতে পারেননি তারা। তাই আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।'

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগেই ২২ দফা দাবি জানিয়েছি। ২২ দফা দাবি মানতে ব্যর্থ হলে চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে তাদের ন্যায্য দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ক্লাস বর্জন আন্দোলন চলবে।’

এদিকে, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে চারুকলার শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একমত হলেও একমত হয়নি চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক প্রতিনিধি দল। পরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দুইদিনের সময় শিক্ষকরা। সারাদিন ব্যাপী শিক্ষকরা বৈঠকে থাকলেও কোন প্রকার সিদ্ধান্ত না দিয়েই চারুকলা ইন্সটিটিউট ছেড়ে যান তারা। 

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রনব মিত্র চৌধুরী কে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। 

চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীর দাবিগুলো যৌক্তিক। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল তারা (শিক্ষার্থীরা) সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তারা এখন ২২ দফা থেকে সরে এসেছে চারুকলাকে ক্যাম্পাসে আনার দাবি তুলছে। এখন হুট করেতো প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আমাদের সময় দিতে হবে। সিন্ডিকেটে আলোচনার বিষয় আছে। সময় না দিয়ে উল্টো তারা অযৌক্তিক আন্দোলন করছে।’

এর আগে, গত বুধবার থেকে ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ডাক দেয় চবির চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো ছিল- নিজস্ব বাস চালু, ডাইনিং ও ক্যান্টিন তৈরি, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, বেশিনের সুব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নির্মাণ, আর্ট ম্যাটারিয়ালসের ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পাঠাগার সংস্কার, জেনারেটরের ব্যবস্থা, মেডিকেল ব্যাকআপ, খেলাধুলার পর্যাপ্ত ইনসট্রুমেন্টের ব্যবস্থা, মেয়েদের থাকার হলের ব্যবস্থা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নির্মূল, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক সংকট নিরসন, ছাত্র ও ছাত্রী মিলনায়তনের ব্যবস্থা, সেমিনারের পরিধি বাড়ানো, ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরন, ওজুখানা ও নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা, সন্ধ্যার পর পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য লকারের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং ছাত্রদের হলের ব্যবস্থা।

-সিভয়েস/ডিসি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়