Cvoice24.com

ভোটের মাঠে ফিরলেন ফরিদ মাহমুদ, আপিলেও ঝরে গেলেন অচেনা সেই দুজন

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:১১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
ভোটের মাঠে ফিরলেন ফরিদ মাহমুদ, আপিলেও ঝরে গেলেন অচেনা সেই দুজন

দ্বিতীয় দিনের মতো আপিল শুনানি করছেন সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনাররা।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন চার মাস আগের উপনির্বাচনে এমপি হওয়া মহিউদ্দিন বাচ্চু। স্বতন্ত্র হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আওয়ামী ঘরনার মঞ্জুর আলম। জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, ইসলামী ফ্রন্ট, সুপ্রিম পার্টি, জাসদ, বিএনএফের প্রার্থীসহ আরও ১২ জন ভোটের মাঠে। তবে ‘ভোটের খেলা’ জমবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্রের। 

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত আপিল শুনানির পর ফরিদ মাহমুদের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) ও চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের দুই ‘অচেনা’ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এদিন নির্বাচন কমিশন মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার আপিল শুনানি করেন। 

এছাড়া চট্টগ্রাম-১৫ আসনে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী ফজলুল হকের। প্রার্থিতা হারানো ফজলুল হকের ব্যক্তিগত পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। শুধু জানা গেছে তাঁর বাড়ি লোহাগাড়ার শুকছড়িতে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এনপিপির হয়ে আমপ্রতীকে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। 

এর আগে রবিবার মনোনয়ন ফেরত পেয়েছেন এই আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব। আপিলের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন আ.লীগের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. আ.ম.ম মিনহাজুর রহমান। এই আসনেও ইসলামী ফ্রন্ট, মুক্তিজোট, ইসলামী ঐক্যজোট, কল্যাণ পার্টির প্রার্থী থাকলেও সকলে অচেনা। মূল ‘ভোটখেলা’ দুইবারের এমপি ড. আবু রেজা মুহম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে আসা এম এ মোতালেবের। ভোটের মাঠে ‘থাকা’ সাপেক্ষে মাঠে যুক্ত হবেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বহরে সদ্য যোগ দেওয়া স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আ.ম.ম মিনহাজুর রহমানের। যদিও তার প্রকাশ্য সমর্থন রয়েছে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেবের দিকে। আ.লীগের প্রার্থী এমপি নদভীর বিরুদ্ধে হলফনামায় ‘গোজামিলের’ নালিশসহ ইসিতে প্রার্থিতা বাতিলের আবেদনও জমা পড়েছে তার পক্ষ থেকে।

চট্টগ্রাম-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম নওশের আলীর  প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে ইসির আপিল শুনানির মধ্য দিয়ে। যদিও উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তার। গোলাম নওশের আলী আওয়ামী ঘরনার হলেও স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেই। কানাডায় আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনিকে মনোনয়ন দিলেও জোটের ভাগাভাগির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে শেষ সিদ্ধান্ত। জোটের শরীকদল নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি বরাবরের মতো আসনটিতে ‘ভাগ’ বসানোর অপেক্ষায়। ‘নৌকার ত্যাগে’ আসনটি শেষ পর্যন্ত ভাণ্ডারির কপালে জুটলেও তাকে পড়তে হবে আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়বের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে। দীর্ঘদিন ধরে ভাণ্ডারি হটাতে চাইছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

সিভয়েস/এএস
 

সর্বশেষ