‘আরেকটি ২৯ এপ্রিলের শিকার হতে চাই না’

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩৯, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
‘আরেকটি ২৯ এপ্রিলের শিকার হতে চাই না’

বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভয়ঙ্কর দিন ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এই দিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। ফুঁসে ওঠা সমুদ্রের ২৫ ফুট উঁচু তীব্র জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল বিস্তীর্ণ উপকূলীয় বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপসহ কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলা। এতে প্রাণহানি হয়েছিল ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। সেই দিনের কথা স্মরণ করে ভয়াল দিনের মতো ‘আরেকটি ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ এর শিকার হতে চাই না’ বলে এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্মরণকালের ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ স্মরণে এক শোক র‌্যালির আয়োজন করে সাপ্তাহিক আলোকিত সন্দ্বীপ পত্রিকা। সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের কর্নেলহাট নন্দন আবাসিক এলাকার ঊষার আলো বিদ্যানিকেতন চত্বর থেকে শুরু হয়ে এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নন্দন আবাসিকের প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়।

র‌্যালি শেষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সন্দ্বীপভিত্তিক ২৮টি সামাজিক সংগঠনের যৌথ মোর্চ ‘সন্দ্বীপ সম্মিলিত সামাজিক ঐক্য পরিষদ’র প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খানের সভাপতিত্ব বক্তারা বলেন, আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। এদিনে নিহতের সংখ্যা বিচারে স্মরণকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে ৯১-এর ঘূর্ণিঝড় একটি। সেই ঝড়-জলোচ্ছ্বাস দুঃস্বপ্নের মতো উপকূলবাসীকে এখনো তাড়িয়ে বেড়ায়। ঘটনার এত বছর পরও সেই দুঃসহ দিনটি স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না নিহতের স্বজনরা। তাই আমরা আরেকটি ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ এর শিকার হতে চাই না।

সন্দ্বীপে সাইক্লোন শেল্টারের কথা তুলে ধরে বক্তারা আরও বলেন, সন্দ্বীপে বসবাসরত প্রায় চার লাখ মানুষের জন্য সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে মাত্র ৬৫টি। যা প্রয়োজনের তুলনায়  খুবই কম। এছাড়া সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা, আজিমপুর, সারিকাইত, রহমতপুর, পৌরসভার কিছু অংশ ও কালাপানিয়া ইউনিয়নের প্রায় ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এসময় এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তারা।

সভায় বক্তব্য রাখেন দারিদ্র্য বিমোচন ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হান্নান রানা, সাতকানিয়া নলুয়া দ্বিজেন্দ্রলাল কারণ হাই স্কুলের সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক স্বপন চন্দ্র সাহা, কর্নেলহাট সিডিএ ইসলাহুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদরাসার প্রধান শিক্ষা পরিচালক ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ দিদারুল মাওলা, কালাপানিয়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিক, মাওলানা ডা. নাজিম উদ্দিন, মাস্টার রিয়াদ হোসাইন, মাস্টার লিটন প্রমুখ।

ঊষার আলো বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মাওলানা মুহাম্মদ আকবর হোসাইনের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন হালিশহর অগ্রণী ব্যাংক কলোনী বায়তুল মালেক জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়