তৈলারদ্বীপ সেতুতে চাঁদাবাজি বন্ধ ও টোল প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৪৭, ১০ মে ২০২৪
তৈলারদ্বীপ সেতুতে চাঁদাবাজি বন্ধ  ও টোল প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

বাঁশখালীর প্রবেশমুখে সাঙ্গু নদীতে নির্মিত তৈলারদ্বীপ সেতুতে চাঁদাবাজি বন্ধ, সেতুর টোল প্রত্যাহার ও ইজারাদার আইনুল কবীর কর্তৃক বাঁশখালীবাসীকে নিয়ে কুরুচিপুর্ণ বক্তব্য প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সামাজিক সংগঠন 'আমরা বাঁশখালীবাসী'র উদ্যোগে  বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল প্রত্যাহার ও এলডিপি নেতা আইনুল কবিরের নিয়ন্ত্রণে থাকা সেতুতে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবি জানান। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,  তৈলারদ্বীপ সেতুটি উদ্বোধন  করা হয় ২০০৬ সালে। সাঙ্গু নদীতে আরও ৫টি সেতু রয়েছে। সেগুলোতে কোনো টোল নেওয়া হয় না। একমাত্র তৈলারদ্বীপ সেতুতে টোল নেওয়া হয়। প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়। উদ্বোধনের পর ২০০৭ সাল থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে টোল আদায় করা হচ্ছে। ৩ বছরের ইজারা দিয়েই যেখানে নির্মাণ ব্যয় উঠে যায়, সেখানে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে টোল আদায় সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও জনগণের অধিকারের পরিপন্থী। তাই আমরা মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে এই সেতুর টোল প্রত্যাহারের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।  

বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তৈলারদ্বীপ সেতুর অনায্য  টোল বাঁশখালীবাসীর উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইজারাদার প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত টোল আদায় করছে। ফলে টোল আদায় রূপ নিয়েছে চাঁদাবাজিতে। বাঁশখালীর মানুষ দীর্ঘদিনের সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেছে। সাধারণ মানুষের জাগরণকে থামিয়ে দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে সেতুর ইজারাদার এলডিপি নেতা আইনুল কবির। তিনি বাঁশখালীর সংসদ সদস্য ও বাঁশখালীর জনগণকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা তার এমন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমান উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক রাহুল কান্তি দাশের সাঞ্চালনায় মানবন্ধনের উপস্থিত ছিলেন কালীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদাত ফারুক, বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন খোকন, প্রকৌশলী রোকন উদ্দীন, সাংবাদিক সুবল বড়ুয়া, বাঁশখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক ওয়াসিম আহমেদ, যুবলীগ নেতা রায়হানুল কবীর শামীম, শেখ মহিউদ্দিন, রায়হানুল হক চৌধুরী, নাসিমুল হাছান, চাম্বল ইউপি সদস্য নুর হোসেন, পুকুরিয়া ইউপি সদস্য মনির উদ্দিন, আমজাদ, রয়ান জান্নাত, মোরশেদুল আলম, এহেছানুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফয়সাল জামিল চৌধুরী সাকি, যুবলীগ নেতা জসীম উদ্দিন, রাজেশ কুমার দে, আতিকুল আলম, মোহাম্মদ সোহেল, খোরশেদ আলম, বাঁশখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ওকান উদ্দিন সাকিব, সংগঠনটির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ উদ্দিন মিনার, সাজিদ, মনির, ফোরকান, ওসমান এনাম, শাহে সিফাত, তারেকুর রহমান ও সিপাদুল ইসলাম প্রমুখ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়