রাঙামাটিতে পাওনা টাকার বিরোধে ছুরিকাঘাতে বন্ধুকে খুন
রাঙামাাটি প্রতিনিধি
ছুরিকাঘাতে যু্বক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি।
রাঙামাটিতে ইজাজুল হক রাব্বি (৩৫) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বনরুপা থেকে সেলিম মাহমুদ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার বিকেলে রাঙামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ।
পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানান, সেলিম মাহমুদের সঙ্গে নিহত রাব্বির বন্ধুত্ব রয়েছে। সেলিমের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরার চরমধুয়ায়। তবে রাঙামাটি শহরে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। রাব্বির কাছ থেকে সেলিম টাকা পেত। তা নিয়ে শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে ফরেস্ট কলোনি এলাকায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সেলিমকে নিহত রাব্বি মারধর করে। সেলিম তার কর্মস্থল ম্যাগপাই রেস্টুরেন্টের তিনতলায় চলে যায়। ভোর সাড়ে চারটার দিকে রাব্বি আবার সেলিমকে ফোন করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে দুইজনের মধ্যে আবারও কথাকাটাকাটি হলে ভোর পাঁচটার দিকে রাব্বিকে সেলিম তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে । সেখানে রাব্বি মারা যায়। ঘটনা দেখে ফেলায় পাশে থাকা নৈশ প্রহরী মো. আমির হোসেনকেও (৩৫) ছুরিকাঘাত করে সেলিম। নৈশ প্রহরী মো. আমির হোসেন রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, রাব্বি ২০২১ সালের একটি মাদক মামলার আসামি। পুরোনো কোন শত্রুতার কারণে নাকি মাদকের টাকার বিষয়ে না অন্যকোন বিষয়ে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা তা অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে রাব্বির মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামিকে রবিবার আদালতে তোলা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আরও পুলিশ সুপার বলেন, রাঙামাটি শহরকে সিসিটিভি ফুটেজের আওতায় আনার যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে শহরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও শহরের কোন কিশোর গ্যাং গড়ে উঠতে দেওয়া হবে না।
সাংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মারুফ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শাহনেওয়াজ রাজু , কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনর্চাজ আরিফুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।