নদভী বললেন, নৌকা ডোবাতে চান স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:০৬, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
নদভী বললেন, নৌকা ডোবাতে চান স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব

নির্বাচনী প্রচারণা, গণ সংযোগে হামলাসহ নানা অপকর্ম হয়েছে বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন ডেকে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. আবু রেজা নদভী বলেছেন, ‘সাতকানিয়ায় নৌকার সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু হয়েছে।

নৌকাকে তারা ডুবিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করছেন।  আওয়ামী লীগ বিক্রি করে তারা টাকার খেলায় মেতে উঠেছে। ডা. মিনহাজ ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড চেয়ারম্যান সুমন ও সহযোগী চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রশ্নবিদ্ধ ও নির্বাচনী পরিবেশকে ধ্বংস করছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. নদভী বলেন, ‘সাতকানিয়ায় নৌকার সমর্থকদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনা সুস্থ পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের  গ্রেপ্তার, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য প্রশাসনকে জানালেও রহস্যজনক কারণে অভিযোগের বিষয়ে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অথচ চরতিসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী অপ্রীতিকর ঘটনার আগে ও পরে প্রশাসনকে অবগত করলেও তারা তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমপি নদভীর স্ত্রী ও নির্বাচন পরিচলনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রিজিয়া রেজা চৌধুরী বলেন,  গত ১০ বছরে সাতকানিয়ার  মানুষ নিরাপদে ছিল। এমপি নদভীর জন্য ভোটারদের মাঝে স্বতঃস্ফূর্ততায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মামনীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরোধী অপশক্তি নৌকার বিরুদ্ধে চক্রান্তে নেমেছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব নৌকার বিরুদ্ধে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ও অকথ্য ভাষায় বিষোদগার করে বেড়াচ্ছন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে মোতালেবকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার জনগণ যখন প্রত্যাখ্যান করেছে ঠিক সে সময় তার (মোতালেব) নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জনগণের ঘরবাড়িতে হামলা ও লুটপাট শুরু করেছেন।

অপরদিকে গত বৃহষ্পতিবার রাতে চরতির কাটাখালী ব্রিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে ৮ নম্বর  ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সন্ত্রাসী সাইফুল, মোস্তফা, নজরুল ইসলাম ও লম্বা ফারুকসহ ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী রিজিয়া রেজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন। হামলায় চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নানসহ ২০/২৫ জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয় বলে জানান।

গতকাল শুক্রবার স্থানীয় একটি রেস্ট্যুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মির্জা কচির উদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মৃদুল কান্তি দাশ, চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা চৌধুরী, সাইদুর রহমান দুলাল ও অ্যাডভোকেট আবু জাফরসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়