মারা গেলেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি শিবিরক্যাডার জামাই কাশেম

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ৭ মে ২০২৪
মারা গেলেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি শিবিরক্যাডার জামাই কাশেম

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানার বালুছড়ায় তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল কাশেম প্রকাশ জামাই কাশেমের (৭০) মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম।

মারা যাওয়া আবুল কাশেম প্রকাশ জামাই কাশেম নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার বালুছড়া এলাকার বাসিন্দা। 

ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম বলেন, আজ (মঙ্গলবার) ভোরে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল কাশেম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারা হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওয়ান-স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদ থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী মৌজার ৩৬ শতক সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম এবং ইউসুফ ওরফে বাইট্টা ইউসুফের সঙ্গে সাইফুল ইসলাম এবং তার ভাইবোনদের বিরোধ চলে আসছিল। ২০০৪ সালের ২৯ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাইফুলের বাড়িতে দেয়াল টপকিয়ে ঢুকে পড়েন শিবিরের তৎকালীন দুর্ধর্ষ ক্যাডার গিট্টু নাছির, ফয়েজ মুন্না, আজরাইল দেলোয়ার, আবুল কাশেম এবং বাইট্টা ইউসুফ। তাদের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হন সাইফুল আলম, বড় ভাই মো. আলমগীর ও বোন মনোয়ারা বেগম।

এ ঘটনায় সাইফুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ইউসুফ, কাশেম, গিট্টু নাছির ও ফয়েজ মুন্নাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। 

এরমধ্যে র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন আসামি গিট্টু নাছির ও ফয়েজ মুন্না। ২০১৭ সালের ৫ জুলাই গিট্টু নাছির ও ফয়েজ মুন্নাকে মামলা থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয় এবং ইউসুফ ও কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল এ মামলায় চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. কামাল হোসেন শিকদার  আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম ও ইউসুফ ওরফে বাইট্যা ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়