চলন্ত অটোরিকশায় পোশাককর্মীকে ধর্ষণ, প্রেমিকসহ ধরা ২

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৪৮, ৭ মে ২০২৪
চলন্ত অটোরিকশায় পোশাককর্মীকে ধর্ষণ, প্রেমিকসহ ধরা ২

চট্টগ্রামে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে পোশাক শ্রমিক এক তরুণীকে চলন্ত সিএনজিতে ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। এসময় ওই সিএনজিটিও উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (৬ মে) নগরের ডবলমুরিং ও হালিশহরের বড়পোল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুইজন হলেন—কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা মো. সাগর (১৯) এবং ভোলা জেলার মো. আক্তার (৩০)। সাগর পেশায় অটোরিকশা গ্যারেজের মিস্ত্রি এবং আক্তার সিএনজি চালক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই পোশাক শ্রমিক তরুণীর বাসা ডবলমুরি এলাকার মিস্ত্রিপাড়ায়। আসামি সাগরের বাসাও একই এলাকায় হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩ মে সন্ধ্যায় পোশাক কর্মী তরুণী কারখানা থেকে বের হওয়ার পর বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে সাগর তাকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নেয়। অটোরিকশা চালাচ্ছিল আক্তার।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘ওই তরুণীর ভাষ্যমতে— সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী পকেট গেইট এলাকায় নির্জন রাস্তায় অটোরিকশার ভেতর সাগর ও আক্তার তাকে ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই অটোরিকশায় তাকে মিস্ত্রিপাড়ার বাসায় নামিয়ে দেয়।’

‘এরপর ৪ মে তরুণী থানায় এসে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। এরপর আমরা দুই জনের অবস্থান শনাক্ত করে তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করি।’

ওসি বলেন, ‘অভিযান শুরু করার পরই আসামিরা আমাদের তৎপরতা বুঝতে পেরে সিএনজি অটোরিকশা ডবলমুরিং এলাকার মিস্ত্রীপাড়া লাল মসজিদের পাশে রেকগে পালিয়ে যায়। আমরা প্রথমে সিএনজিটি উদ্ধার করি। এরপর আসামি সাগরকে ডবলমুরিং এলাকা থেকে আটক করি।’

‘এদিকে সিএনজিচালক মো. আক্তার ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় পালিয়ে আছে জানতে পেরে আমরা সেখানে অভিযান চালাই। কিন্তু সে বুঝতে পেরে নিজ জেলা ভোলায় পালিয়ে যাওয়ার জন্য হালিশহর থানার বড়পোল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চলে যায়। কিন্তু ভোলা যাওয়ার আগেই তাকে আমরা গ্রেপ্তার করি।’ বলেন ওসি ফজলুল কাদের।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়