অবহেলায় ৮ বছর পড়ে ছিল গর্জন কাঠ, ক্ষয়ের পর নিলামে তুলছে কাস্টমস

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:০১, ১৯ এপ্রিল ২০২২
অবহেলায় ৮ বছর পড়ে ছিল গর্জন কাঠ, ক্ষয়ের পর নিলামে তুলছে কাস্টমস

নষ্ট হয়ে যাওয়া দামি কাঠগুলো জ্বালানি হিসেবে বিক্রি করতে নিলামের আয়োজন করেছে কাস্টমস।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অকশন শেডের সামনে দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে ছিল গর্জন কাঠ। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে গোটা কাঠগুলো ক্ষয়ে যাওয়ার পর অবশেষে টনক নড়লো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। নষ্ট হয়ে যাওয়া দামি কাঠগুলো জ্বালানি হিসেবে বিক্রি করতে নিলামের আয়োজন করেছে কাস্টমস। সে অনুযায়ী আগামী ২৬ এপ্রিল ১২শ ৫১ টুকরা গর্জন কাঠের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। 

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর মিয়ানমার থেকে ১২শ ৫১ পিস গর্জন কাঠ আমদানি হয়েছিল। তিন ক্যাটাগরিতে আমদানি করা কাঠগুলোর প্রক্রিয়াগত ত্রুটি থাকায় পণ্যগুলো শতভাগ কায়িক পরীক্ষার পর আটকে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরপর একের পর এক বিভিন্ন পণ্যের নিলাম অনুষ্ঠিত হলেও কাঠগুলো নিলামের ব্যবস্থা করেনি কাস্টমস। বছরের পর বছর কাস্টমস হাউসের অকশন শেডের সামনে দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে গোটা কাঠগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাই ১২শ ৫১ টুকরা গোটা কাঠের পচা, নষ্ট বা ধ্বংস হয়ে যাওয়া কাঠের ৬০ ভাগ বাদ দিয়ে বাকি ৪০ ভাড় নিলামে বিক্রি করবে কাস্টমস। তাই কাঠগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৯২০ টাকা।

প্রতিবারের মতো এবারো নষ্ট হয়ে যাওয়া কাঠগুলোর নিলাম কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে মেসার্স কে এম করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মো. মোরশেদ সিভয়েসকে বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নিলামে অংশ নিতে হলে আজ থেকে আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে ক্যাটালগ ও দরপত্র (প্রতি সেট ২শ ও একশ টাকা) পরিশোধ করতে হবে। ক্যাটালগ ও দরপত্র মাঝিরঘাট স্টেশন রোড, পোর্ট কলোনীর কাস্টমস অকশন শেডের নিলাম শাখা ও ঢাকার মতিঝিল অফিসে দরপত্র জমা দিতে হবে। পাশাপাশি আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিক্রয়যোগ্য পণ্য পরিদর্শন করতে পারবেন বিডাররা। আগামী ২৬ এপ্রিল বেলা দেড় টায় কাম্টমস হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ে দরপত্র খোলা হবে।’

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (নিলাম শাখা) আলী রেজা হায়দার সিভয়েসকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে মাটির সংস্পর্ষে থাকায় কাঠের গুণগত মান ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এই মেগালটে ১২শ ৫১ টুকরা বা ৬৫ হাজার ৯৪৬ ঘনফুট কাঠ রয়েছে। কিন্তু গুণগত মান কমে এখন ২৬ হাজার ৩৭৮ ঘনফুট কাঠ রয়েছে। এগুলো শুধুমাত্র জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। আমরা সে দিক বিবেচনা করেই কাঠগুলো নিলামে তুলছি। তবুও আমরা বিডারদের উদ্দেশ্যে বলবো তারা যেন কাঠগুলো দেখে কেনেন।’

-সিভয়েস/টিএম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়