Cvoice24.com

‘স্বপ্নফেরি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন তথ্যমন্ত্রী

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৩, ১ মার্চ ২০২৩
‘স্বপ্নফেরি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন তথ্যমন্ত্রী

মোড়ক উন্মোচন করছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরীসহ অতিথিবৃন্দ

‘স্বপ্নফেরি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বইমেলায় একুশে পত্রিকা ও আজকের সকাল সন্ধ্যা সম্পাদক আজাদ তালুকদার সম্পাদিত গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উঠে আসা গল্প এ বইয়ে স্থান পেয়েছে। বইটিতে ভাষার ব্যবহার ও শব্দের গাঁথুনি অনুপম ও অনবদ্য। প্রাসঙ্গিকতা ও প্রকাশের ভিন্নতা গ্রন্থটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।’

এ সময় সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, একুশে পদক পাওয়া জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা ও চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করা ‘স্বপ্নফেরি’ বইটি প্রকাশ করেছে বর্ণনা প্রকাশনী। ১৮৪ পৃষ্ঠার এই বইয়ে ২৭টি লেখা স্থান পেয়েছে। লেখাগুলো এমন ব্যক্তিদের নিয়ে, যারা একাগ্রতা আর কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। অন্যদের অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত হয়েছেন।

পরে চট্টগ্রাম বইমেলার মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে র‌্যাংকস এফসি প্রপার্টিজের সিইও তানভীর শাহরিয়ার রিমনের সঞ্চালনায় এ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশ নিয়ে আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক তাপস বড়ুয়া বলেন, ‘স্বপ্নফেরি বইটি অত্যন্ত চমৎকার। অসুস্থ শরীর নিয়ে বইটি সম্পাদনা করেছেন আজাদ তালুকদার ভাই। আমি অনেক আগে থেকে ওনার লেখার ভক্ত। ওনার লেখা পেলেই পড়ার চেষ্টা করি।’

তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা তারিকুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘স্বপ্নফেরি বইটি অসাধারণ। বইটিতে আমাকে নিয়েও একটা লেখা আছে। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। আমার অত্যন্ত ভালো লাগছে।’

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) চট্টগ্রাম কসমোপলিটনের সাবেক সভাপতি টিপু সুলতান শিকদার বলেন, ‘সফল ব্যক্তিদের অজানা গল্প উঠে এসেছে ‘স্বপ্নফেরি’ বইটিতে। বইটা পড়লে অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে।’

নিফকো ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের চেয়ারম্যান এইচ এম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘সাংবাদিক আজাদ তালুকদার অত্যন্ত মেধাবী একজন মানুষ। স্বপ্নফেরি বইটি ওনার কাছে সন্তানের মত। পরম যত্নে তিনি বইটি প্রকাশ করেছেন। বইটি পড়ে, পাঠক অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবে।’

দেওয়ানহাট মহল্লা কমিটির নেতা ও বিশিষ্ট সমাজব্রতী হাসান ইমরান বলেন, ‘আমি আজাদ তালুকদার ভাইয়ের লেখার ভক্ত। তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেন। ওনার প্রতিটি লেখা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি উঠতে পারি না। একনাগাড়ে পড়ে ফেলি।’

স্পোটিভ কোকোলোকোর কর্ণধার শেখ মোহাম্মদ জুলফিকার বিপুল বলেন, ‘আজাদ তালুকদার ভাই আমার প্রিয় মানুষ, পছন্দের মানুষ। তিনি একজন সাহসী সাংবাদিক। শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও তিনি স্বপ্নফেরি বইটি সম্পাদনা করার কঠিন কাজটি করেছেন। বইটি অবশ্যই পাঠকপ্রিয়তা পাবে।’

বারকোডের স্বত্বাধিকারী মনজুরুল হক বলেন, ‘স্বপ্নফেরি বইয়ে আমাকে নিয়ে একটি লেখা আছে। নিঃসন্দেহে এটা আমার জন্য বড় পাওয়া। আমি খুব খুশি। অবশ্যই এটি নিয়ে আমি একটি রিভিউ লিখব।

মহানগর নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সরোজ বড়ুয়া বলেন, ‘আজাদ তালুকদার ভাই নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ। বইটি আমি পুরোপুরি পড়িনি। আশা করছি ভালো কিছু হবে। কারণ ওনার লেখাগুলো দুর্দান্ত। আমি ওনার লেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি। তিনি এমন কিছু লিখেন, যা জানা আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়।’

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নুল আবেদীন টিটু বলেন, ‘স্বপ্নফেরি বইয়ে অনেক গুণী মানুষের জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত। বইটিতে বান্দরবানের সাবেক এসপি ও আমার ব্যাচমেটকে নিয়েও একটা লেখা আছে। লেখাগুলো পড়ে নতুন কিছু জানতে পারছি।’

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘স্বপ্নফেরি বইটিতে বেশ কিছু সফল মানুষের জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। তারা প্রায় শূন্য থেকে সততা, একাগ্রতা আর কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছেন। সুন্দর সাবলীল ভাষায় বইটি লেখা হয়েছে। সবারই এই বই ভালো লাগবে। দারুণ সব শব্দের গাঁথুনিতে আজাদ লিখেন যেমন ভালো, তেমনি বলেনও অসাধারণ।

স্বপ্নফেরি বইটির সম্পাদক আজাদ তালুকদার বলেন, ‘আমি চেষ্টা করি সময়কে সবসময় কাজে লাগাতে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেও আল্লাহর রহমতে আমি নিয়মিত লেখালেখি করতে পারছি। যদিও অনেক কষ্ট হয়। আমি চেয়েছি আপাদমস্তক সাংবাদিক হতে। কতটুকু পেরেছি জানি না।’

তিনি বলেন, ‘সমাজের সফল, স্বার্থক, আলোকিত গল্পগুলো স্থান পেয়েছে স্বপ্নফেরি বইয়ে। আমি মনে করি, এসব গল্প একজন তরুণেরও যদি চোখ ও চিন্তার জগত খুলে দেয়, তবেই এ প্রয়াসের স্বার্থকতা।’

এ সময় একুশে পত্রিকার সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শরীফুল রুকন, আবছার রাফি, জোবায়েদ ইবনে শাহাদাত, এম কে মনির, আবদুল আলী, জিন্নাত আয়ুব, কাউছার আলম প্রমুখ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়