২০ টাকার খাম ১০০ টাকায় বিক্রি!

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ৯ মে ২০২৪
২০ টাকার খাম ১০০ টাকায় বিক্রি!

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে কলেজের কাঠালতলা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কলেজে ভর্তি হতে প্রয়োজন এমন ২০ টাকা দামের একটি খাম দিয়ে ১০০ টাকা নিচ্ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ ও তার লোকজন। এতে বাধা দেন সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির। আর তা নিয়েই শুরু হয় সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ নিজেদের কর্মীরা আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

তবে কলেজ সূত্র বলছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম এবং সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের মধ্যে বেশ পুরনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। প্রায়ই ওই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বেশ কিছুদিন ধরে কলেজে নিজের আধিপত্য হারিয়েছেন সভাপতি মাহমুদুল করিম। তাই সবুজ মল্লিকের একচ্ছত্র আধিপত্যে ‘ভাগ বসাতে’ সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিরকে ‘গুটি’ হিসেবে ব্যবহার করছেন মাহমুদুল। কিন্তু ‘রাজ্য’ ছাড়তে রাজি নন সবুজ। তাই এবার মাহমুদুলের পর তিনি মনিরকেও কলেজ ছাড়া করতে চান। 

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, ‘স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির সময় কাগজপত্র জমা দিতে শিক্ষার্থীদের খামের প্রয়োজন হয়। ২০ টাকার সেই খাম ১০০ টাকায় শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছেন সুভাষ মল্লিক ও তার অনুসারীরা। প্রতিবাদ করায় কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকেও তারা মারধর করেছেন। আমরা বেশি দামে খাম বিক্রির কারণ জানতে চাওয়ায় তারা গায়ে পড়ে বারবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।’

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ ছত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘কলেজের সভাপতি মাহমুদুল করিম দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে নেই। এখন হঠাৎ করে এসে মনিরুল ইসলাম মনির নামের একজন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করে তার সঙ্গে রাজনীতি করতে বলছেন। কিন্তু আমাকে তো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কিংবা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি এরকম কোনো নির্দেশনা দেয়নি। আমার পক্ষে তাই তাকে সঙ্গে নিয়ে কলেজে রাজনীতি করা সম্ভব না। সেজন্য বারবার এসে সে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।'

চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সারওয়ার আজম মারামারির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ছাত্রদের দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ দুপক্ষকেই ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়