রাঙামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টিতে বজ্রপাত, নিহত তিন

রাঙামাটি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১২:১৭, ২ মে ২০২৪
রাঙামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টিতে বজ্রপাত, নিহত তিন

রাঙামাটিতে কয়েকদিনের তীব্র তাপ প্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তিন জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ২ মে) শহরের সিলেটি পাড়া, বাঘাইছড়ি উপজেলা ও সাজেকে এই তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- শহরের তবলছড়ির সিলেটি পাড়া এলাকার মো. নজির (৫০), বাঘাইছড়ি উপজেলার মুসলিম ব্লক এলাকার বৃদ্ধা বাহার জান (৬০) ও । সাজেকের লংথিয়ান পাড়ার তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭)।   

জানা গেছে, সকালে ৯টার দিকে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে গরু আনতে বাড়ির পাশে মাঠে যায় বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বৃদ্ধা বাহার জান। এসময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়, একই সঙ্গে মারা যায় গরুটিও।

অন্যদিকে সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাঙামাটি শহরের সিলেটি পাড়া এলাকায় বাড়ির পাশে কাপ্তাই হ্রদে বরশি দিয়ে মাছ ধরছিলেন মো. নজির (৫০)। এসময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণ করেন।

এদিকে সকালের বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতে জেলার সাজেকের লংথিয়ান পাড়ায় তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭) নামে  এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার তার মৃত্যুর বিষয়ে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিস্তারিত জানা যায়নি। 

বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইশতিয়াক আহমেদ জানান, বাড়ির পাশে মাঠে বৃষ্টিতে গরু আনতে গেলে বজ্রপাতে গরু ও বাহার জানের মৃত্যু হয়।

এদিকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. শওকত আকবর জানালেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, মো. নজির নামে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। শরীরে তেমন দাগ বা ক্ষত দেখা যায় নি। তিনি কি কারণে মারা গেছেন সেটি নিশ্চিত নয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটিতে কয়েকদিনের তীব্র তাপ প্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি হয়। সকাল থেকে রাঙামাটির আকাশ মেঘলা ছিল। ৯টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। একটানা অঝোরে ঝরে ১৫মিনিট। রাঙামাটি শহর ছাড়াও রাঙামাটির রাজস্থলী, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল উপজেলায়ও কম বেশি বৃষ্টি হয়েছে। স্বস্তির বৃষ্টিতে খুশি রাঙামাটির মানুষ। বিশেষ করে কৃষিজীবীরা। 

বৃষ্টিতে ঘুরতে বের হওয়া মো. রফিক জানান, তীব্র গরমের পর বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ জন্য উপভোগ করতে বের হয়েছি। বেশ ভালো লাগছে। আমার কুমড়ো ক্ষেত রয়েছে। সেগুলো রক্ষা পাবে।

এর আগে জেলাজুড়ে ৩৬- ৩৮ ডিগ্রিতে উঠা-নামা করছিল তাপমাত্রা। যা জনজীবনে অস্বস্তি তৈরি করে। বিভিন্ন উপজেলায় অকালে ঝড়ে যেতে শুরু করে অপরিপক্ষ আম-লিচুসহ বিভিন্ন ফল ।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়