ওমিক্রন ঠেকাতে আসতে পারে যেসব বিধিনিষেধ

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ৪ জানুয়ারি ২০২২
ওমিক্রন ঠেকাতে আসতে পারে যেসব বিধিনিষেধ

লকডাউনের শুরুতে চট্টগ্রামের সিটি গেইট এলাকায় পুলিশি তৎপরতা। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ও সংক্রমণের হারের উর্ধ্বগতির মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিধিনিষেধের কথা ভাবছে সরকার। পুরোপুরি লকডাউন না দিলেও সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করার পাশাপাশি আগের মতো বেশ কিছু বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা হয়েছে। 

সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাতে সচিবালয়ে ওমিক্রন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আসতে পারে যেসব বিধি নিষেধ

হোটেলে খাওয়া-দাওয়া

করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে সরকার হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, বেকারি, কনফেকশনারি, ফুচকা-চটপটির দোকানসহ ছোট বড় সব ধরনের খাবারের দোকানে বসে কাবার খেতে মানা থাকলেও এবার তা থাকছে না। তবে হোটেলে খাওয়ার জন্য অবশ্যই করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার সনদ প্রয়োজন হবে। এ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আসছে।

মন্ত্রী বলেন, আরেকটি তাগিদ দেওয়া হয়েছে- মানুষ টিকা যাতে গ্রহণ করে। টিকা যারা নিয়েছে তারা রেস্টুরেন্টে খেতে পারবে, অফিসে যেতে পারবে বিভিন্ন কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে করতে পারবে মাস্ক পরা অবস্থায়। টিকা যারা না নেবে, তারা কিন্তু রেস্টুরেন্টে (হোটেল) গিয়ে খেতে পারবে না। টিকার সার্টিফিকেট (সনদ) দেখাতে হবে। তবেই সেই রেস্টুরেন্ট তাকে এন্টারটেইন করবে।

তিনি বলেন, যদি কোনো রেস্টুরেন্ট কাউকে (টিকার সনদ না থাকার পরও খেতে দেয়) তাহলে সেই রেস্টুরেন্টকেও জরিমানা করা হবে।

এই সিদ্ধান্ত কবে থেকে বাস্তবায়ন হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে। ক্যাবিনেট থেকে একটা সার্কুলার ইস্যু হবে। ১৫ দিন পর সার্কুলার ইস্যু হবে।

সীমিত অনুষ্ঠান

সিদ্ধান্ত হয়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যত অনুষ্ঠান আছে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয়- এই অনুষ্ঠানগুলোর সংখ্যা যাতে সীমিত করা হয়, এ বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নীতিগতভাবে কিছুটা এ বিষয়ে...আমাদের পজিটিভ আলোচনাই হয়েছে যে, হ্যাঁ এটা করা হবে।

গণপরিবহন

গণপরিবহনে আসন সংখ্যার চেয়ে কমিয়ে যাত্রী পরিবহনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে। মাস্ক পরার বিষয়েও আসছে কঠোরতা, মাস্ক না পরলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দেওয়া হবে শাস্তি। তবে আপাতত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোনো চিন্তা সরকারের নেই।

জাহিদ মালেক বলেন, পরিবহন সেক্টর নিয়ে বলা হচ্ছে, যে সিট ক্যাপাসিটি আছে, সেটা কমিয়ে যাতে চালানো হয়, এ বিষয়ে একটা আলোচনা হয়েছে। একটা সিদ্ধান্ত আশা করি আমরা পাবো।

মাস্ক না পরলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি

সব ক্ষেত্রেই মাস্ক পরতে হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, বাস-ট্রেনে উঠলে মাস্ক পরতে হবে। মসজিদে গেলে পরতে হবে মাস্ক। অর্থাৎ সব জায়গায় মাস্ক পরতেই হবে। না পরলে জরিমানা করা হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়