দাপট কেটেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের, কমেছে বিপদ সংকেত
সিভয়েস প্রতিবেদক
বৃষ্টি ঝরিয়ে সময়ের সঙ্গে শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। কমানো হয়েছে বিপদ সংকেত। ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে ঝড়ের প্রভাবে আজ মঙ্গলবার(২৫ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত উপকূলসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভোলার কাছে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানে। মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাসে চট্টগ্রাম জেলায় সড়কে গাছ পড়ার ঘটনা ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। যদিও চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লায় তিনজন, বরিশালের ভোলায় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন, নড়াইল ও বরগুনায় একজন করে মোট নয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল ছেড়ে এলেও এখনো উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।