চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট অসীম জাওয়াদ

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৮, ১০ মে ২০২৪
চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট অসীম জাওয়াদ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ অসীম জাওয়াদকে নিজ জেলা মানিকগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) বেলা আড়াইটার দিকে তৃতীয় জানাজা শেষে শহরের সেওতা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নিহতের মরদেহ বহনকারী বিমানবাহিনীর একটি  হেলিকপ্টার মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে নামে। এর কিছুক্ষণ পর হেলিকপ্টার থেকে তার মরদেহের কফিন কাঁধে করে নামিয়ে আনেন বিমানবাহিনীর সদস্যরা। রিফাতের মরদেহের সঙ্গে তার বাবা ডা. আমানউল্লা, স্ত্রী অন্তরা আক্তার ও দুই সন্তান হেলিকপ্টারে আসেন। পরে নিহত পাইলটকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। ছেলের মরদেহবাহী কফিন দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা নিলুফা খানমসহ তার স্বজনরা।  

এর আগে সকালে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ রিফাতের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানেরা। ঢাকা সেনানিবাসস্থ বিএএফ বেস বাশার-এ তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় সেখানে রিফাতের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।  

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেও আহত হন।

পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে অসীম জাওয়াদ মারা যান। বিমানের উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

নিহত আসীম জাওয়াদ রিফাত মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট রিফাত মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন।  

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়