ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে চট্টগ্রামে যত ক্ষতি

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:০৪, ২৫ অক্টোবর ২০২২
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে চট্টগ্রামে যত ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট বাতাসে পতেঙ্গা এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বেশকিছু ঘরবাড়ি

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ প্রভাবে চট্টগ্রামে যত ক্ষয়ক্ষতি উপকূলে বৃষ্টি ঝরিয়ে শক্তি হারিয়ে মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। নামানো হয়েছে বিপদ সংকেত। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর বড় ধরনের তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল। 

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট বাতাসে নগরের পতেঙ্গা এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বেশকিছু ঘরবাড়ি। এছাড়া জোয়ারের পানিতে আসবাবপত্র সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন মোহরার এক যুবক। আহত হয়েছেন একই পরিবারের আরও দুজন। এছাড়া আনোয়ারা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সড়কে গাছ উপড়ে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল ব্যহত ছিল। 

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন দপ্তরে খোলা কন্ট্রোল রুমে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। 

এছাড়া জোয়ারের পানিতে তলিয়ে চট্টগ্রামের বৃহত্তর পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে প্রায় শত কোটি টাকার পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী। 

ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র মোবিলাইজার কফিল উদ্দিন সিভয়েসকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম নগরে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। তবে উপজেলার আনোয়ারা ও রাঙ্গুনিয়ায় গত রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে একটি ও রাত ৮টা ২৫ মিনিটে একটি গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম সড়কে ভেঙে পড়া গাছ দুটি অপসারণ করে। উদ্ধার করা পর্যন্ত সাময়িক যান চলাচল বন্ধ ছিল।’ 

অন্যদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার মধ্যরাতে নগরের চেরাগী পাহাড় ও কাটা পাহাড় এলাকায় ছোট কয়েকটি গাছ পড়ার ঘটনা ঘটেছে। সকালে সিটি করপোরেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা তা অপসারণ করে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। 

এ বিষয়ে কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরুণ বাবু সিভয়েসকে বলেন, ‘আমাদের এখানে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ছোট খাটো কয়েকটা গাছ পড়েছে চেরাগী পাহাড় ও কাটা পাহাড় এলাকায়। সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। কোনো সমস্যা হয়নি।’ দমকা বাতাসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হলেও অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। 

 এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আমীর আবদুল্লাহ সিভয়েসকে বলেন, ‘আমাদের কাছে যত ফোন কল আসছে সবগুলো ছিল কারেন্ট নাই। কখন আসবে। কখন কারেন্ট দিবো। কেন কারেন্ট নাই এসব প্রশ্ন নিয়ে। দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সমস্যা নিয়ে কোনো ফোনকল আসেনি কিংবা সেরকম কোনো ঘটনার বিষয়ে তথ্য পাইনি।’

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়