ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং/
সেই ৬০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেবে চবির আরবি বিভাগ

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০০:২৭, ২৮ অক্টোবর ২০২২
সেই ৬০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেবে চবির আরবি বিভাগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরবি বিভাগের মাস্টার্সের ৫০৩ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ অক্টোবর ঘুর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এ আটকে পড়া উপকূলীয় অঞ্চলের শিক্ষার্থীর কথা না ভেবেই পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠে বিভাগটির বিরুদ্ধে। সে পরীক্ষায় মাস্টার্সে ৯১ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩০ জন।

এরপরই শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে 'আশ্রয়কেন্দে শিক্ষার্থী, তবুও পরীক্ষা নিল চবির আরবি বিভাগ' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে সিভয়েস। পরে বিষয়টি বিভাগের দৃষ্টিগোচর হলে পুনরায় ওই কোর্সের পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে অনেক শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসতে পারেননি। তাদের অনেকেই আবার স্বপরিবারে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন। এসব বিষয় বিভাগের শিক্ষকদের জানানোর পরেও তাতে কর্ণপাত না করে রীতিমতো জোর করেই পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষকরা। এক পর্যায়ে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের মানবিক দিক সমর্থনে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীই পরীক্ষা বয়কট করেন। 

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে আরবি বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, 'শিক্ষার্থীদের অনুরোধে আমরা পুনরায় ৫০৩ কোর্সের পরীক্ষা নিব। চলতি বছরের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।'

পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার পর গত ২৫ অক্টোবর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, 'আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ আটকা পড়লে সেটা আমাদেরকে জানাতে হবে। কিন্তু এটা আমাদেরকে কেউ জানায়নি। এ ব্যাপারে কেউ আমাদেরকে কোনো তথ্যও দেয়নি। করোনায় বড় ধরনের সেশনজট হয়েছে। তাই চেয়েছি দ্রুত ওদের পরীক্ষা শেষ করতে। আমরা শিক্ষার্থীদের কখনো অকল্যাণ চাই না।'

এদিকে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণায় খুশি আরবি বিভাগের মাস্টার্সের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। 

এ বিষয়ে মঈনুল তালুকদার নামে এক ছাত্র বলেন, 'ঘুর্ণিঝড়ের কারণে আমাদের অনেক বন্ধুই আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন। স্যারদের অনুরোধ করার পরও ওনারা পরীক্ষা নিয়েছেন। পরে বন্ধুদের সাথে একাত্ম হয়ে আমরা ৬০ জনের মত পরীক্ষা অংশগ্রহণ করিনি। তবে বিভাগ পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আমরা খুশি। স্যার এবং সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান বলেন, 'বিষয়টি জানার পর বিভাগ কর্তৃপক্ষকে আমরা জানিয়েছি। শিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে। অবশেষে বিভাগ পরীক্ষাটি নিতে সম্মত হয়েছে। আমি বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।'

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়