মুক্তবুদ্ধি ও মুক্ত মতের চর্চার কেন্দ্র হবে বিশ্ববিদ্যালয় : তথ্যমন্ত্রী

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ১৮ নভেম্বর ২০২১
মুক্তবুদ্ধি ও মুক্ত মতের চর্চার কেন্দ্র হবে বিশ্ববিদ্যালয় : তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬তম দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠদান ও সার্টিফিকেট প্রদানের জন্যই নয়। এটিকে জ্ঞান, বুদ্ধি, মুক্তবুদ্ধি, মুক্ত মতের চর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬তম দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তমত ও মুক্ত সংস্কৃতির চর্চা না হলে দেশের গণতন্ত্র সুসংহত হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দি, ইংরেজি গান কিংবা হিন্দি সিরিয়ালের চর্চা যেন না হয়, আমাদের আবহমান সংস্কৃতির অবাধ চর্চা রাখতে হবে।

গবেষণার প্রতি জোর দিয়ে হাসান মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের সাথে গবেষণা ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। তাই গবেষণা খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার। এতে শিক্ষকরা গবেষণালব্ধ জ্ঞান আরও কাজে লাগাতে উদ্বুদ্ধ হবে।

আওয়ামী লীগেরে যুগ্ম সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, অনেকে বলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে নেই। আসলে আমরা উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মত পাঠদান, জ্ঞান বিতরণ, সৃজন ও গবেষণায় পিছিয়ে নেই। বরং আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিং যারা করে তাদের সাথে যোগাযোগ না হওয়ার কারণে আমরা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাতারে আসতে পারিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অবয়ব ও উন্নত অবকাঠামো বড় পরিচয় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবকাঠামোর দিকে অনুন্নত অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কিন্তু এসব ছোট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকরা প্রতিবছরই নোভেল পুরষ্কার পাচ্ছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় ৫৬ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি আনন্দ র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শন করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুল তলায় কেক কাটা হয়।

চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এতে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যার ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উত্থাপন করেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ড. মুহিবুল আজীজ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান, চবির সাবেক উপাচার্য ড. বদিউল আলম, অধ্যাপক ড. আনোয়ারুজ্জামান আরিফ, চাকসু ভিপি সাবেক মাজহারুল হক শাহ, বর্তমান ভিপি নাজিম উদ্দিন,  চবির এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহাবুব আলম (অনলাইন)। 

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, ডিনবৃন্দ, শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়