উত্তর অজানা

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮
উত্তর অজানা

‘আমার রক্তের ওপরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকা উড়বে।’

অফুরান দেশ প্রেম আর আবেগের মিশেলে উচ্চারণ করেছিলেন আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের প্রথম প্রাণপুরুষ শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

নিজের মুখের সেই কথা রক্ত দিয়ে রেখেও গিয়েছেন।দ্বিতীয় পুত্রসহ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।এরপর এমন অত্যাচার করা হয় যে পরবর্তীতে তাঁকে হামাগুড়ি দিয়ে টয়লেটে যেতে হতো। শরীরজুড়ে লেগে ছিল বীভৎস অত্যাচারের ক্ষতচিহ্ন।এই শহীদের সঠিক মৃত্যুতারিখ জানা যায়নি। স্বজনেরা খুঁজে পাননি মরদেহও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম শিক্ষক ছিলেন ড. জি সি দেব। এই আপন ভোলা দার্শনিক কী এমন অন্যায় করেছিলেন যে তাঁকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে তুলে নিয়ে জগন্নাথ হলের মাঠে ছাত্রদের সঙ্গে গুলি করে মারতে হলো, সবার সঙ্গে মাটিচাপা দিতে হলো?

শিক্ষাবিদ আবদুল কাইয়ুমের মৃত্যু দৃশ্যটিও কল্পনার সীমানার বাইরে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষককে পদ্মার তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে গর্ত খুঁড়ে সেখানেই জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

১৯৭১ সালে পাক বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে শহীদ হওয়া হাজারো বুদ্ধিজীবীর প্রত্যেকের মৃত্যুর মুহূর্তগুলো ছিল এমনই দুঃসহ যন্ত্রণায় ভরা। এসব ভাবতে গেলেই মন উপচে উঠে দুঃখের কাশফুলে। 
সেখানে যাঁরা আপনজন হারিয়েছেন তাঁদের দুঃখ, কষ্ট, শূন্যতা, হাহাকার আর বেদনার ওজন কত ভারী? কত ভারী?

সাংবাদিক তাসনীম হাসানের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া

সিভয়েস/এমআইএম

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়