Cvoice24.com

দেশ বদলে দিতে এসেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

ধ্রুব হাসান

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
দেশ বদলে দিতে এসেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লাট স্থাপন করে বাংলাদেশ ৩৩ তম দেশ হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ ‘পারমাণবিক ক্লাবে’ যোগ দিলো। ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ৫০ টিরও বেশি দেশে এখন পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক উন্নত দেশ এখন পারমাণবিক প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। যেমন ফ্রান্স এই দশকের শেষ নাগাদ নিউক্লিয়ার শিল্পে এক বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করবে।

তাই শূন্য কার্বন নিঃসরণ, ন্যূনতম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ, জ্বালানির দামের ওঠানামার প্রতি কম সংবেদনশীলতা এবং কম বিদ্যুত উৎপাদন খরচসহ, শক্তির ঘাটতির বিকল্প সমাধান হিসেবে নিউক্লিয়ার শক্তি বাংলাদেশের কাছে আকর্ষণীয়। এটা এখন বাংলাদেশের জন্যে অত্যন্ত সুদুর প্রসারি ও দীর্ঘমেয়াদী উচ্চাকাঙ্খী প্রকল্প। এই প্রকল্প শুধু জ্বালানি খাতের সংস্কারই করবে না বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং অর্থনীতিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াবে।  বলা হচ্ছে, নিউক্লীয় শক্তি তিনটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে সরাসরি অবদান রাখবে। এগুলো হচ্ছে সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন শক্তির নিশ্চিত করণ, শিল্প উদ্ভাবন, এবং জলবায়ু রক্ষা। 

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রকল্পটির বর্ণাঢ্য প্রেক্ষাপট রয়েছে। এগুলো হচ্ছে,  বাংলাদেশের জন্মের আগে, অর্থাৎ ১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে একটি পরমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৬৩ সালে প্রস্তাবিত ১২টি এলাকার মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হয় বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা থেকে ২'শ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার অন্তর্গত পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামটিকে।

সেই সঙ্গে প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণও করা হয় ২৬০ একর জমি। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিমাতাসুলভ আচরণের জন্য তা আমাদের অধরাই থেকে যায়। ১৯৬৪ সালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য যন্ত্রপাতি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তা শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে না-এনে করাচিতে নিয়ে যায়।

পরবর্তী সময়ে রূপপুর নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও কার্যক্রম আর এগোয়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রায় ৫০ বছর আগের নেওয়া উদ্যোগটি সক্রিয় করে তোলা হয়। দ্রুত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ২০১০ সালে সংসদে প্রস্তাব পাস করে গঠন করা হয় একটি জাতীয় কমিটি। 

২০১১ সালের জুলাই মাসে, আন্তর্জাতিক এটমিক এনার্জি এজেন্সি বা আইএইএ কর্তৃক পরিচালিত সাইটিং মিশন’-এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য রূপপুর সাইটকে উপযোগী সাইট বলে উল্লেখ করা হয়। রূপপুর উঁচু পলল ভূমি। ফলে এ এলাকা বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার কোনো ভয় নেই। পরে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবরে রূপপুরে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এর পর ২০১৫ সালের ২৫শে ডিসেম্বর রুশ ফেডারেশনের রোসাটম স্টেট এনার্জি করপোরেশন ‘রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের মধ্যে বিদ্যুতকেন্দ্রটি স্থাপনের চুক্তি বা জেনারেল কন্ট্রাক্ট সই হয়। এরই ধারাবিাহিকতায় দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন শুরুর চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক বাংলাদেশের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

সমালোচকরা এই পারমাণবিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে, জ্বালানি খরচ, পরিবেশগত সমস্যা, ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তার সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ এই প্রকল্পটিকে একটি "সাদা হাতি" এবং "অকালপক্ব" বলে অভিহিত করেছেন। একই সময়ে বিশ্বের  উন্নতদেশগুলো একে বলেছেন "মহা কল্পনা"

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর  মধ্যে একটি হল পরিবেশের কোন প্রকার ক্ষতি না করা।  এর জন্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ২১.৮৫ শতাংশ কমানোর একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই নির্গমন বেশিরভাগই আসে জীবাশ্ম জ্বালানী-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মত অন্যতম জলবায়ু- আক্রান্ত দেশের জন্য পারমাণবিক শক্তি, জলবায়ু পরিস্থিতির জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় একটি অপ্রতিস্থাপনযোগ্য পদ্ধতি।

এছাড়াও, ঝুঁকি এড়াতে রাশিয়ার সাথে বর্জ্য জ্বালানি বিদেশে পাঠানোর জন্য চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ, পারমাণবিক বর্জ্য নিষ্পত্তির বিষয় বিজ্ঞতার সাথে সমাধান করেছে। 
আমেরিকান এনার্জি ডিপার্মেন্টের মতে নিউক্লিয়ার এনার্জির ক্যাপাসিটি ফ্যাক্টর সর্বোচ্চ, যেটা নির্দেশ করে কত শতাংশ সময় বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। 

নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট এর সক্রিয় সময়ের শতকরা ৯৩ ভাগেরও বেশি সময় বিদ্যুৎ উতপাদনে সক্ষম যা কয়লা এবং গ্যাস-ভিত্তিক প্লান্টের চেয়ে ১.৫ থেকে ২ গুণ বেশি এবং সৌর ও বায়ু-ভিত্তিক উৎসের তুলনায় প্রায় ২.৫ থেকে ৩.৫ গুণ বেশি। বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হবে একটি বেইজলোড বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা ২৪ ঘণ্টা চলবে। তাই নির্মাণ ব্যয় বেশি হওয়া সত্ত্বেও, এর দীর্ঘ আয়ুষ্কাল, কম জ্বালানি খরচ এবং বড় আকারের উৎপাদনের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমিইয়ে দেবে।  

এতে রাশিয়ান ফ্ল্যাগশিপ প্রযুক্তির মডুলার এবং কমপ্যাক্ট ডিজাইন, সামগ্রিকভাবেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের খরচ কমাবে।  রিঅ্যাক্টরে জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম-২৩৫ ব্যবহার করা হবে যার মাত্র এক গ্রাম ব্যবহার করে প্রায় ২৪ হাজার কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। রাশিয়ার কারিগরি ও ৯০ শতাংশ আর্থিক সহায়তা এবং বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশনের বাস্তবায়নে নির্মিতব্য দুই ইউনিট বিশিষ্ট্য ২৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রকল্প ব্যয় প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা । জীবাশ্ম জ্বালানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সর্বোচ্চ পঁচিশ বছর আয়ুষ্কালের বিপরীতে বাণিজ্যিকভাবে আর-এনপিপি প্লান্টটির আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ৬০ বছর যা ৮০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। আশা করা যায় চালু হওয়ার ২০ বছরের মধ্যে এর নির্মাণ ব্যয় সম্পূর্ণ ভাবে উঠে আসবে। 

প্লান্টটি রক্ষণাবেক্ষণ করতে রাশিয়া ১৯৫০ জন বাংলাদেশিকে প্রশিক্ষণ দেবে। এছাড়াও তিন বছর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম এবং পাঁচ বছর মেয়াদি স্পেশালিস্ট প্রোগ্রামে রাশিয়াতে বাছাইকৃত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করবে। প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ভারতের সাথেও একটি সহযোগিতা চুক্তি সই করেছে। 

কারণ রাশিয়ার সাথে দেশটির একই অভিজ্ঞতা রয়েছে। তদুপরি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ স্থানীয়ভাবে পরমাণু বিজ্ঞানী তৈরির লক্ষ্যে আর-এনপিপি শুরুর পাঁচ বছর আগে ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে। কাজেই বাংলাদেশি তরুনদের দক্ষ জনশক্তি হয়ে গড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি দেশেই একটা বড় কর্মক্ষেত্র গড়ে উঠেছে। সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশি প্রকৌশলীরা তাদের পড়াশোনা শেষ করে দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে তাদের মেধা কাজে লাগাতে পারবেন। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ফলে কলকারখানা এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গতিশীল হবে। 

উৎপাদন শুরুর দ্বারপ্রান্ত থেকে দেশের এযাবতকালের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র উত্তরাঞ্চল তথা সমগ্র দেশের শিল্প খাতের সম্প্রসারণ ঘটানোর মধ্যমে সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি সরকারি রাজস্ব তৈরি করে প্রকল্পটি অর্থনীতিতে অবদান রখবে। গণমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, এরইমধ্যে প্রায় ১৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী সরাসরি নিয়োগ করেছে প্রকল্পটি। এছাড়াও, প্রায় ৩ হাজার বিদেশি নাগরিক কর্মরত আছে সেখানে। 

সৃষ্ট বর্ধিত কর্মসংস্থান স্থানীয় অর্থনীতিকে একটি উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দিয়েছে। সরজমিন তদন্ত এবং উন্মুক্ত প্রশ্নের মধ্যমে পরিচালিত এক জরিপের ফলাফল অনুসারে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি কর্মচারীদের প্রয়োজন মেটাতে প্রকল্প এলাকার আশেপাশে বেশ কয়েকটি নতুন শপিং সেন্টার খোলা হয়েছে এবং স্থানীয় জনগনের ছোট ও মাঝারি পরিসরের ব্যাবসায়ের প্রসার ঘটেছে। 

উদাহরণস্বরূপ, পদ্মা নদীর ঈশ্বরদী অঞ্চলে নির্মিত নদী বন্দর, ঈশ্বরদী থেকে রূপপুর পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার রেললাইন ও রূপপুর রেলস্টেশন, আরএনপিপির প্রকল্পের জন্য তৈরি করা হয়েছে সহায়ক অবকাঠামো ।  জাতীয়  পর্যায়ে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রকল্পটির দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা অনুমান করা কঠিন। তবে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ভোগ, বিনিয়োগ এবং সরকারি ব্যয়ে বহুমুখী প্রভাব রাখার মাধ্যমে আর-এনপিপি প্রকল্পে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দেশের জিডিপিতে প্রতি বছর প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার পরিবর্তন আনবে। এছারাও, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৭১.৪ বিলিয়ন ডলার সামগ্রিক অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে এবং ব্যায়িত প্রতি ডলারের মার্জিনাল ইমপ্যাক্ট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১.৩ এর বিপরীতে ৩.৬ হবে। 

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়  ১২,৫০০ ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা, দেশের অর্থনীতিতে শিল্পায়নের পরিসর এবং গতির উপর নির্ভর বহুলাংশে নির্ভরশীল। শিল্পায়ন উন্নত অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তির মধ্যে একটি হওয়া সত্ত্বেও উন্নয়নশীল বাংলাদেশ এর ক্রমবর্ধনশীল শিল্পকারখানা গুলোকে সচল রাখতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে রিতীমত হিমশিম খাচ্ছে। শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান সক্ষমতা প্রকল্পিত বৃহৎ শিল্পায়নের জন্য পর্যাপ্ত নয়। আর-এনপিপির দুটি ইউনিট, ২০২৪ সালের মধ্যে চালু হলে, জাতীয় গ্রিডে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। কাজেই, আর-এনপিপি প্রকল্পটি পাবনা এবং তার আশেপাশে শিল্প ভিত্তিকে টিকিয়ে রাখা এবং সম্প্রসারণের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 

এই জোনে প্রায়  ১৭০ টি ভারি মাঝারি এবং হালকা শিল্প রয়েছে যা পাবনাকে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পোন্নত শহর হিসেবে গড়ে তুলবে।  এরিমধ্যে, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে ঈশ্বরদী ইপিজেড। গত অর্থবছরে এ ইপিজেডে রফতানি আয় বেড়েছে ৩০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিতরণের উদ্দেশ্য গ্রিড অবকাঠামো আধুনিকীকরণের জন্য সরকারের অত্যাবশ্যক প্রচেষ্টার পরিপূরক যা বিতরণ নেটওয়ার্কের দক্ষতা নিশ্চিত করবে। 

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট ভ্যালু ট্যুল ব্যবহার করে ঈশ্বরদী উপজেলা এবং আশেপাশের এলাকার পরিবেশ, অর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানের উপর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রটির প্রভাব নিয়ে পরিচালিত এক গবেষণায় প্রকল্পটি গ্রহণযোগ্য বলে প্রস্তাব করেছেন।

গণমাধ্যম কর্মী  
 

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়