কারাভ্যন্তরে নির্যাতন: সেই হাজতির জামিন

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৩১, ৩ মার্চ ২০২১
কারাভ্যন্তরে নির্যাতন: সেই হাজতির জামিন

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বৈদ্যুতিক শক ও বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে হত্যা চেষ্টা করা সেই হাজতি রূপম কান্তি নাথকে জামিন দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (৩ মার্চ)  মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত তাকে জামিন দেন।

বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী সুমন বলেন,  আদালত জামিন শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এরআগে সোমবার (১ মার্চ) রূপম কান্তি নাথ নামে ওই হাজতিকে বৈদ্যুতিক শক ও বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে জেল সুপার, জেলার, কারা হাসপাতালের চিকিৎসক ও মামলার বাদী রতন ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ রেজার আদালতে অভিযোগ দেন। এদিন আদালত অভিযোগটি আমলে নিলেও কোন আদেশ দেননি। পরদিন আদালত অভিযোগটি ‘উপযুক্ত আদালতে’ পুনরায় তোলার আদেশ দেন।

ঝর্ণা রানী দেবনাথ আদালতে দাখিল করা অভিযোগে দাবি করেন, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর তার স্বামী ভিকটিম রূপম কান্তি নাথ জিআর ৩৩২/১৮ নম্বর মামলায় সুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। ভিকটিম থেকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সম্মতি আদায়ের জন্য অভিযুক্ত বিবাদীরা পরস্পরের যোগসাজসে চট্টগ্রামের কারাগারের সাঙ্গু ১ নম্বর ভবনে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ ও ২৫ তারিখের যেকোন সময় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বৈদ্যুতিক শক ও বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে কারাবন্দি রূপম কান্তি নাথকে হত্যা চেষ্টা করা হয়। 

এমন সংবাদ পেয়ে স্ত্রীর পক্ষে রূপমের আইনজীবী তার সঙ্গে দেখা করেন। পরে হাজতি রূপমকে উন্নত চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে মহানগর জজ আদালতে আবেদন করেন আইনজীবী। আদালত আবেদন মঞ্জুর করলে ২৮ ফেব্রুয়ারি তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের এমএক্স ১২ নম্বর বেডে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনার পর বাদি ঝর্ণা হাসপাতাল পরিচালকের কাছে আলামত সংগ্রহ করে রাখতে আবেদনও করেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কারা কর্তৃপক্ষের তত্ববধায়নে চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের এমএক্স ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ভিকটিম রূপন কান্তিনাথের মুখ, হাতসহ সারা গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অন্ডকোষে আগুনের ছ্যাঁকা দেয়ার মতো চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুরো অন্ডকোষ, পুরুষাঙ্গসহ বিভিন্ন স্থান আগুনে ঝলসে গিয়ে মাংসপিণ্ড খসে পড়ার মতো চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া রোগীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়