‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত ১৯৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:২৪, ২৪ অক্টোবর ২০২২
‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত ১৯৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং’এর প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপোসাগর

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’আরও ঘনীভূত হয়ে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। আজ মধ্যরাত অথবা মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে আছে বরিশালের বরগুনা ও পটুয়াখালী। তবে সিত্রাং উপকূল অতিক্রম করার সময় চট্টগ্রাম-কক্সাবাজার উপকূলেও আঘাত হানবে। সেসময় বেশি ঝুঁকিতে থাকবে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত করা হয়েছে ১ হাজার ৯৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র। প্রায় ১৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ইতিমধ্যে উপকূলীয় এলাকার ৪ লাখ বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্র নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন থেকে ১১টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এসময় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। 

সভায় জেলা প্রশাসক জানান, চট্টগ্রামে ৫১১টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ ১ হাজার ৪৪০ টি বিদ্যালয় ও ৯টি মুজিব কিল্লা ও আশেপাশের ভবন আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে প্রায় ১৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। ইতিমধ্যে উপকূলীয় এলাকার ৪ লাখ এলাকার লোককে আশ্রয়কেন্দ্র নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি সকল দপ্তরকে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে

দুর্যোগকালীন জরুরি সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জরুরি সেবা সেল চালু, সাগরের তীরবর্তী উপজেলাসমূহে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের প্রস্তুতকৃত আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে দ্রুত শুকনো খাবার ও ওষুধ পাঠানো, স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগকালীন যে কোনো ধরনের ব্যয় জন্য জেলা থেকে নির্বাহ, জরুরি ভিত্তিতে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে যেতে মাইকিং কার্যক্রম চলমান রাখা, বাংলাদেশ বেতারকে নিয়মিত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর বুলেটিন বার্তা প্রচার, বিভিন্ন এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা, কোস্টগার্ডকে ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য তাদের বোট গুলো প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা, 
সাগরে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা সমূহ নিরাপদ অবস্থান গ্রহণের বিষয়টি তদারকি করতে বলা হয়। এছাড়া দুর্যোগে হতাহতের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পাহাড়ে বসবাসকারীদের রক্ষায় স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। প্রয়োজন সাপেক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে জরুরি ত্রান ও সহায়তার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সিভয়েস/এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়