‘অনেক চ্যালেঞ্জিং এবারের বলীখেলা’

মিনহাজ মুহী ও রবিউল রবি, সিভয়েস২৪

প্রকাশিত: ১৩:১১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
‘অনেক চ্যালেঞ্জিং এবারের বলীখেলা’

ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলায় চারবারের চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলীর মতে, এবারের প্রতিযোগিতা অনেক চ্যালেঞ্জিং। কারণ, প্রচণ্ড গরম, তার ওপর সারাদেশ থেকে খ্যাতনামা সব বলীরা এসেছেন। 

মো. শাহজালাল বলীর বয়স এখন চল্লিশের কোটায়। এ পর্যন্ত তিনি মোট ছয়বার অংশগ্রহণ করে চারবার (২০১৬, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২৩) চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।  তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার ওমরাবাদ এলাকার ভাসানিয়া গ্রামে। স্ত্রী-সন্তান ছাড়াও এই কুস্তিগীরের পরিবারে আছে বাবা-মা, দাদা, পাঁচ ভাই এবং দুই বোন। বছরজুড়ে বিভিন্ন খেলাধুলার পাশাপাশি তিনি ব্যবসাও করেন। এ দিয়েই চলে তার সংসার।

তিনি বলেন, ‘এবার দুজন বিডিআর সদস্যও এসেছেন বলে শুনেছি। আমাদের গ্রামের ছোটভাইরাও এসেছে। তবে যতই চ্যালেঞ্জিং হোক। এবারও আমি চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছি ৷ হবো, ইনশাআল্লাহ।’

‘পরিচিতি ও আনন্দের জন্যেই মূলত বলীখেলা। আমার মনে হয় না, জব্বারের বলীখেলার মতো এত বড় আয়োজন সুষ্ঠুভাবে  বাংলাদেশের কোথাও হচ্ছে। ব্রিটিশ আমল থেকে এই খেলা চলমান।  মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকেই এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গেছেন। তাই এই খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারাটা আমার জন্য গর্বের। আব্দুল জব্বার সওদাগর অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি দেশের জন্য অনেক কিছু করে গেছেন। তার উত্তরসূরিরা এই ধারাটি ধরে রেখেছে। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’-যোগ করেন শাহজালাল বলী।

চ্যাম্পিয়ন হতে কেমন লাগে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন যতবার হয়েছি নিজের কাছে ভালোই লেগেছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আমাদের খেলা দেখে যখন দর্শকরা বেশি আনন্দ পায়। আমাদের পূর্বপুরুষরা ওই খেলাটা খেলতো। শুধু এখানে নাম বলী আর আমাদের ওখানে কুস্তি।’ 

বলীখেলার আসরকে ঘিরে প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মুরুব্বিদের কাছ থেকেই আমরা প্রশিক্ষণ নেই। এই খেলাটা রপ্ত করতে অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন আছে। কী করতে হবে, কী খেতে হবে—এসব বিষয়েই মূলত ট্রেনিং নেই। যেহেতু সারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আসর, সেহেতু বছরজুড়ে এই খেলা নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা থাকে। খেলার মাধ্যমে সারাদেশে পরিচিতি লাভ করা যায়।’

তবে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালেও আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ওটা ইচ্ছা করেই আমাকে দেওয়া হয়নি।’
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়