তপ্ত রোদেও মঞ্চের আশপাশ দর্শকে ঠাসা

মিনহাজ মুহী ও রবিউল রবি, সিভয়েস২৪

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
তপ্ত রোদেও মঞ্চের আশপাশ দর্শকে ঠাসা

রোদের আঁচে গা পুড়ে যায় অবস্থা। শরীর থেকে অঝোরে ঝরছে ঘাম। সারা শরীর ভিজে যাচ্ছে। এক সেকেন্ডের জন্যও কারো নড়চড় নেই। ঠাঁই দাঁড়িয়ে খেলা শুরুর অপেক্ষায়।

দূর থেকে ভালো করে দেখা যাবে না। আর সরলেই মঞ্চের পাশে দাঁড়ানো যাবে না।  যার কারণে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বলীখেলার মঞ্চ ঘিরে দর্শকদের এমন অবস্থান দুপুর দেড়টা থেকে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় লালদীঘি মাঠে শুরু হচ্ছে বলীখেলা।

সোহরাব হোসেন নামে এক যুবক বলেন, মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে খেলা দেখার আনন্দ আলাদা। রোদ যতই পড়ুক, এরপরও মঞ্চের পাশে থাকতে চাই। আর আর খেলা শুরু হতে হতে রোদের তাপমাত্রা একটু কমে যাবে। তখন সব ঠিক হয়ে যাবে। তাই আর কিছুক্ষণ কষ্ট করতে সমস্যা নাই।

বলীর অপেক্ষায় মঞ্চ

পটিয়া উপজেলা থেকে ছোট ভাইকে নিয়ে বলীখেলা দেখতে এসেছেন কলেজ পড়ুয়া ফরহাদ হোসেন। তিনি সিভয়েস২৪-কে বলেন, সকাল ১১টার দিকে বাড়ি থেকে এসেছি। সঙ্গে আমার ছোট ভাই এসেছে। রোদের তীব্রতা একটা বেশি। মেলায় কিছুক্ষণ ঘুরাফেরা করেছি। একটু পরে খেলা শুরু হবে। তাই আগে থেকে মঞ্চের পাশে থাকার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। শেষে এলে মঞ্চের পাশ থেকে খেলা দেখা আর সম্ভব হবে না।

আন্দরকিল্লার বাসিন্দা রফিক আহমেদ বলেন, ‘কি রোদ আর বৃষ্টি? বলীখেলার জন্য সারাবছর অপেক্ষা করি। এটি আমাদের চট্টগ্রামের ঐতিহ্য। আমি দুপুর ১টার দিকে এসেছি। কখন শুরু হবে খেলা সেটি দেখায় অপেক্ষায় আছি।’

কিশোর-যুবকদের মতো বলীখেলার আনন্দে মাতাতে মঞ্চের পাশে ঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিলেন ৫২ বছর বয়সী কুতুব উদ্দিন। প্রচণ্ড গরম আর রোদে শরীর বেয়ে ঘাম ঝরছে। তবুও তিনি এসেছেন তার নাতির সাথে।  

নাতি নাঈমুর রহমান বলেন, ‘আমার নানা আরও এক সপ্তাহ আগে থেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করতো কখন বলীখেলা শুরু হবে। আজ সকাল থেকেই আসার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন। তাই দুপুরের খাবার খেয়েই দিদার মার্কেট থেকে রিকশা নিয়ে সোজা চলে এসেছি। ভিড় আর গরমের মধ্যেও আমার নানা খুশি। কারণ তিনি আসতে পেরেছেন।’

পোশাকশ্রমিক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আজ ছুটি নিয়েছি শুধুমাত্র বলীখেলা দেখতে আসবো বলে। আমি আমার কয়েকজন বন্ধুসহ এসেছি। সকাল থেকে মেলায় ঘুরেছি। একটু পর খেলা শুরু হবে তাই এখন মাঠে চলে আসলাম।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়