Cvoice24.com


‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ বসছে চট্টগ্রামের কোরবানির হাট

প্রকাশিত: ১৩:৫৩, ৮ জুলাই ২০২০
‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ বসছে চট্টগ্রামের কোরবানির হাট

স্বাস্থ্যবিধির উপর ভর করে করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতেই এবার চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর হাট অনুমোদন দিতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। যদিও নগর পুলিশের আপত্তির মুখে অন্যান্য বছরের তুলনায় কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে এনেছে চসিক। নগরীতে এবার বসছে কোরবানির পশুর ৭টি হাট। যার মধ্যে ৩টি স্থায়ী ও ৪টি অস্থায়ী হাট।

এবারের বাজারগুলো পরিচালিত হবে দুই শিফটে। জনসমাগম কমাতে হাটের প্রবেশ দ্বার ও বের হওয়ার পথ আলাদা হবে। সেই সাথে বাজারগুলোকে ওয়ার্ড ভিত্তিক আলাদা করে দেয়ার কথা ভাবছে  চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। তাছাড়া এবারের বাজারে ঠাঁই হবে না ছোটদের। ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক পড়ে-হাত ধুয়ে ঢুকতে হবে বাজারে। কোরবানির বাজারকে কেন্দ্র করে যেন করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধির উপরই ভরসা করছে।

যদিও শুধুমাত্র এসব নিয়ম মেনে করোনা ঠেকানো সম্ভব কি’না সেই প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল। তারা বলছেন,  দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু নিয়ে ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম আসবেন, বেচা-বিক্রি শেষ করে চলে যাবেন। এই প্রক্রিয়ায় যারা আসা-যাওয়া করবেন তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা সম্ভব নয়। তাছাড়া করোনার ‘তীর্থস্থান’ খ্যাত চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বেশির ভাগ খামারি এখানে আসবেন। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত লেজে-গোবরে পরিস্তিতি সৃষ্টি হতে পারে। তবে চসিকের কর্তারা দৃঢ়তার সাথেই বলছেন কঠোর ভাবে মনিটরিং করা হবে কোরবানি পশুর হাট। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দেয়া হবে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা। হাটে আসলে মানতেই হবে ওই নির্দেশনাগুলো।


চসিক সূত্র বলছে, গত বছর নগরীতে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা ছিল ১০টি। তার মধ্যে বাদ পড়া ৩টি হাট হলো-স্টিল মিল, পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (কাটগড়) এবং নিউমুরিং আবাসিক এলাকার পাশে (বড়পোল) বন্দর কর্তৃপক্ষের খালি জায়গা। 

অন্যদিকে ৩টি স্থায়ী পশুর হাট সাগরিকা গরুর বাজার, পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার ও বিবিরহাট।  ৪টি অস্থায়ী হাট হলো - কর্ণফুলী (এক কিলোমিটার গরুর বাজার) পশুরহাট, কমল মহাজন হাট গরু বাজার, সল্টগোলা গরুর বাজার, পতেঙ্গা বাটার ফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ।

কোরবানির পশুর হাটে প্রবেশ করতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আসতে হবে বলে জানিয়েছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। তিনি বলেন, হাটে প্রবেশের সময়ই মাপা হবে জ্বর।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা খামারিদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব স্বল্প সময়ের জন্য হাট বসবে। তাই কোয়ারেন্টাইন বা ওই ধরনের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তবে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাকে আলাদাভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।'

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পশুর হাটের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর তালিকা তৈরি করছে স্বাস্থ্যবিভাগ। আরও কিছু সময় হাতে আছে, সেই তালিকা পেলে ওই নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের জন্য হাটের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।


এপি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়