Cvoice24.com


ফের প্রশ্নবিদ্ধ 'চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতি'র নির্বাচন

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ২২ অক্টোবর ২০২০
ফের প্রশ্নবিদ্ধ 'চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতি'র নির্বাচন

বহুল কাঙ্ক্ষিত চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির নির্বাচন আবারো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া নির্বাচনে অভিযোগের তীর শ্রম অধিদপ্তরের দিকে। ফলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির নির্বাচন আবারও স্থগিত করেছে শ্রম আদালত।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির অন্তর্ভূক্ত মিল রয়েছে ১৯টি। সে অনুযায়ী গঠনতন্ত্র মোতাবেক সদস্য হওয়ার কথা ১৯ জন (প্রতি মিলের একজন করে সদস্য হতে পারবেন বলে গঠনতন্ত্রে উল্লেখ করা আছে)। তবে সমিতির বর্তমান সদস্য সংখ্যা রয়েছে ৪৩ জন। যা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। এরপরেও শ্রম অধিদপ্তর থেকে বারবার নির্বাচন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়।

পরবর্তীতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে উক্ত নির্বাচনে বর্তমান কমিটির সভাপতি শান্ত দাশ গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুদ্দিন চিঠির কোন উত্তর না পাওয়াতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তার দুই দিন পর সাধারণ সম্পাদক শ্রম আদালত বরাবর বাদী হয়ে শ্রম পরিচালক, নির্বাচন কমিশনার, সহকারী নির্বাচন কমিশনারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৫/২০২০।

মামলায় অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মহল নির্বাচনে একটি পক্ষকে নির্বাচিত নেতৃত্বে আনার জন্য বারবার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। গঠনতন্ত্র বহির্ভূত সদস্য নিয়ে পুরো রাইস মিল মালিক সমিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।

চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুদ্দিন জানান, গতবারের নির্বাচন স্থগিত করার পর শ্রম অধিদপ্তর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, আপনাদের নির্বাচনটি গঠনতন্ত্রমূলক না হওয়াতে নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তারপরের চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি আরেকটি চিঠি দিয়ে বলেছেন, রাইস মিল মালিক সমিতি ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন না করে কালক্ষেপণ করছে।

তিনি আরও জানান, শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাব্বির তাদেরকে আন-অফিসিয়ালি নির্বাচন করার জন্য বলেন। কিন্তু তাতে  অফিসিয়ালি নির্বাচন করার জন্য লিখিত আকারে চিঠি দিতে বলেছি। তারপর গত ১৫ সেপ্টেম্বর শ্রম অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। তারপরে ২১ সেপ্টেম্বর আবারও গঠনতন্ত্র পরিপন্থীর বিষয়টি বুঝিয়ে বললেও শ্রম অধিদপ্তর তাদের কথার গুরুত্ব না দিয়ে নির্বাচন দেন। পরে তারা আদালতে মামলা করলে আদালত ১ অক্টোবর নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা প্রদান করেন। একই সাথে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ প্রদান করেন।

তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, 'আমার সংগঠনের সদস্য সংখ্যা আর নিয়মানুযায়ী গঠনতন্ত্রে একটু গড়মিল থাকাতে আমরা কত সদস্য নিয়ে নির্বাচনে যাবো তা শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর জানতে চেয়ে দরখাস্ত দিয়েছিলাম। কিন্তু পরিচালকের কোন সদুত্তর পাইনি।'

রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি শান্ত দাশ গুপ্ত বলেন, 'কনস্টিটিউশনে (গঠনতন্ত্র) তা আছে, তার বাইরে নির্বাচন কিভাবে করবো? কনস্টিটিউশনে আছে একটি প্রতিষ্ঠানের ভোটার হবে একজন। অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি দুইজন বা চারজন পাটনার (অংশীদার) থাকে সেক্ষেত্রে সবাই ভোট দিতে পারবে না। ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একজন ভোট দিবে। কিন্তু এখন‌ রাইস মিলের নির্বাচনে এ গঠনতন্ত্র মানা হচ্ছে না।'

এ বিষয়ে শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক নাছির উদ্দিন ও সহকারী পরিচালক সাব্বিরের সাথে কথা বলা হয়। তারা দুইজনই সহমত ব্যক্ত করে জানান, চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির সদস্যরা নির্বাচন কমিশনারের কথা অনুযায়ী ভোট প্রদান করেছেন। আমি সুষ্ঠু ভোট দেখেছি। এ বিষয়টি আদালতকেও জানানো হয়েছে। আশা করি, শুনানির পর বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়