চবি : পরীক্ষার তারিখ না দিলে আমরণ অনশন

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ১ ডিসেম্বর ২০২০
চবি : পরীক্ষার তারিখ না দিলে আমরণ অনশন

চবি ছাত্রদের আল্টিমেটাম

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্থগিত হওয়া পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় বেঁধে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ওই সময়ের মধ্যে যদি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণাপূর্বক সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা না আসে, তাহলে রবিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে আমারণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন চত্বরে সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় বিভিন্ন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ফোরকানুল আলম। 

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৫ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শেষে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি এবং পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা আমরা সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে জানতে পারি। কিন্তু ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও উক্ত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রশাসনের নিকট পুনরায় স্মারকলিপি পেশ করা হয়। সর্বশেষ বিগত ২৯ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শেষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হয়, প্রথমে বিভিন্ন বিভাগে স্থগিত মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষাসমূহ নেওয়া হবে। এরপর পরিস্থিতি বুঝে পর্যায়ক্রমে স্থগিত পরীক্ষাসমূহ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন’র (পিএসসি) পক্ষ থেকে ৪৩তম বিসিএস (সাধারণ) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং আবেদনের সর্বশেষ তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২১ উল্লেখ করা হয়। উল্লেখিত তারিখের মধ্যে আমাদের পরীক্ষা সমাপ্ত না হলে আমরা আবেদনের যোগ্যতা হারাব, যেটি বিগত ৪১তম বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে আমরা হারিয়েছি।

‘সার্বিক পরিস্থিতি সাপেক্ষে আমরা ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ, চবি’ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থগিত পরীক্ষাসমূহ নেওয়ার ব্যাপারে যদি তারিখ ঘোষণাপূর্বক সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা না আসে, তাহলে আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে আমরা আমারণ অনশনে যাব।’- বলেন ফোরকানুল আলম।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিভিন্ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষসহ অন্যান্য বর্ষের চলমান ও তারিখ নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করায় শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকবার স্মারকলিপি পেশ ও মানববন্ধন করেছে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৫ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শেষে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। তবে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি কমিটি গঠিত হলেও এর কোন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। 

-সিভয়েস/এআর

চবি প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়